অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন, ২৪ আসামি কারাগারে
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৩৯
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের মামলায় পলাতক ২৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলামসহ পালিয়ে থাকা ২৪ জন আসামি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. কামরুন নাহার জামিনের আবেদন খারিজ করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী মনির উদ্দিন বলেন, ২৪ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ৯ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ রয়েছেন।
আদালতের জিআরও অনিলকুমার রায় জানান, ওই মামলায় মোট ৩১ জন আসামি রয়েছে। এর মধ্যে এই ২৪ জনসহ মোট ২৮ জন জেলহাজতে ও একজন জামিনে ও দুইজন পলাতক রয়েছেন।
পলাতক থাকা দুই আসামি হলেন- ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তামজিদার রহমান ও ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের।
এই মামলার বিবরণে জানা গেছে, গরু চুরির অপবাদ দিয়ে চলতি বছরের ৪ আগস্ট নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর কোলন ঝাড় গ্রামে লালন মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগমকে (৩২) গাছের সঙ্গে বেঁধে দিনভর নির্যাতন করা হয়। এ সময় তিনি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
পুলিশ শেফালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। সময়ের আগে প্রসব করায় নবজাতকের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। পরে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নবজাতকটি মারা যায়।
এদিকে শেফালীর মামা ভটভটি চালক সহিদুল ইসলাম ৬ আগস্ট রাতে ডিমলা থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠান। পরে রংপুর মেডিকেল থেকে ফিরে শেফালী নতুন করে ৩১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ওই মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ