খেলাধুলার অপরাধে কন্যা শিশুকে পিতার অমানুষিক নির্যাতন
প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০১
পাড়ার ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করার অপরাধে নড়াইলে আহাদ মোল্লা নামের এক বাবা নিজের শিশুসন্তানকে অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির নাম মীম খাতুন। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটিকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর চিকিৎসাসেবা না দিয়ে ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা হয়। তিন দিন পর খবর পেয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পুলিশ ও প্রতিবেশী জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মীম বাড়ির পাশের কয়েকটি শিশুর সঙ্গে কুতকুত খেলা করে। রাতে তার বাবা বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে হাতে থাকা টর্চলাইট ও লোহার রড দিয়ে মীমকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন। চিকিৎসাসেবা না দিয়ে তাকে ঘরের খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। তিন দিন পর গণমাধ্যমকর্মীরা খবর পেয়ে পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘরের খাটের নিচ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মীমকে তার চাচা গোলাম কিবরিয়ার সদর উপজেলা কোয়ার্টারের বাসায় নেওয়া হয়।
জানা যায়, গোলাম কিবরিয়া নড়াইল এজি অফিসের সহকারী সুপার পদে চাকরি করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে বিষয়টি জানতে গোলাম কিবরিয়া সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। বলেন, ‘আমার বাসায় কোনো মেয়ে নেই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনজন প্রতিবেশী বলেন, আহাদ মোল্লা একজন নেশাগ্রস্ত মানুষ। তার চারটি বিয়ে। নির্যাতনের শিকার হয়ে সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। বর্তমানে তার কোনো স্ত্রী নেই। মীম তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান।
মুঠোফোনে আহাদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, মীম তার ছয় হাজার টাকা চুরি করেছে। এই বলে ফোন কেটে দেন। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।