স্বামীকে বেঁধে নববধূকে যুবলীগ কর্মীদের ধর্ষণ
প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৪
দিন-দুপুরে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে ধর্ষণ করে তার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সোনাগাজী উপজেলার কাজীর হাটের যুবলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় আহত স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর বসুরহাট এলাকার এক প্রবাসী যুবক তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে পাশের সোনাগাজী উপজেলার ছোট ফেনী নদীর কাজীরহাট স্লুইচ গেইট এলাকায় নৌকা ভ্রমণে আসেন। এ সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্লুইচ গেট এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রের জামালের ঘরে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা নববধূকে ধর্ষণ করে। পরে তাদের কাছ থেকে এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।
দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা জিম্মি থাকার পর বিকাল ৩টায় স্থানীয়রা ইউপি মেম্বার টিপনকে বিষয়টি জানালে তার সহযোগিতায় স্বামী-স্ত্রীকে তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়। মেম্বার টিপন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান। তিনি আহত স্বামীর কাছে ঘটনা শুনে তাদের সোনাগাজী থানায় পাঠিয়ে দেন। রাতে ঐ স্বামী বাদী হয়ে যুবলীগ কর্মী রাসেল ও এমরানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে লোকলজ্জার কারণে ওই স্বামী তার স্ত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এর আগেও রাসেল ও এমরান এ এলাকায় ঘুরতে আসা অনেক নারীর শ্লীলতাহানিসহ নানা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভুট্টু জানান। কিন্তু জেলা যুবলীগের এক শীর্ষ নেতার কারণে তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না বলে দাবি করেন তিনি।