শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা : মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি কারাগারে
প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৩০
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি সরোয়ার হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি এ মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানের ভগ্নিপতি।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুর রহমান এ আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী লুৎফর রহমান জানান, সারোয়ার হোসেন মিয়া এ মামলা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। গত ২০ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এ আসামির ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। মিডিয়ায় তিনি ওই খবর জানতে পেরে আজ মঙ্গলবার আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। তিনি মুফতি হান্নানের ছোট ভগ্নিপতি। ওই কারণেই তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২০ আগস্ট মামলাটিতে দশ আসামিকে গুলিতে মৃত্যুদণ্ড এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সারোয়ার হোসেন মিয়াসহ ৩ আসামির ১৪ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। মামলায় চাজশিটে আসামি সারোয়ার হোসেন মিয়ার নাম উঠে আসে। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (১) ধারার বিধান মতে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্যদণ্ড প্রদান করেন।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই দিনই গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার এস আই নূর হোসেন একটি মামলা করেন।
ওই ঘটনার মামলায় সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সী আতিকুর রহমান ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। পরবর্তীতে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান স্বীকারোক্তি করে সে নিজে এবং অন্যান্য আসামিরা এই মামলাগুলোয় জাড়িত মর্মে প্রকাশ করায় সিআইডি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম মামলা ২টিতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ওই চার্জশিটে মোট মুফতি হান্নানসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়।