প্রধানমন্ত্রীর চোখে জল
প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:৪৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারেরই নাগরিক। আর নিজেদের নাগরিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তারা। মানবিক কারণে আমরা তাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছি।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে এক সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন ‘মিয়ানমার সরকারকে আমি বলব, তারা যেন নিরীহ মানুষগুলোর ওপর কোনোরকম নির্যাতন না করে, এগুলো যেন তারা বন্ধ করে। প্রকৃত দোষী যারা, তাদের খুঁজে বের করুক। আর এ ব্যাপারে আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে…যে ধরনের সাহায্য দরকার, আমরা তা করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারই এ সংকট সৃষ্টি করেছে। তাই সমস্যা নিরসন করতে হবে তাদেরই। ফিরিয়ে নিতে হবে তাদের বাসিন্দাদের।
নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নারকীয় তাণ্ডব, নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণের বর্ণনা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অশ্রুজল দেখা যায় চোখের কোণে।
রোহিঙ্গা এক শিশু প্রধানমন্ত্রীকে তার পরিবারের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কথা জানান। শিশুটি জানায়, তাদের জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আগুন দেয়া হয়। তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিষ্ঠুর নির্যাতনের হাত থেকে রেহায় পায়নি শিশুটিও। তার নাকে আঘাত করে থেঁতলে দেয়া হয়।
শিশুটির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় অশ্রুসিক্ত নয়নে ওই শিশুকে বুকে জড়িয়ে নেন। তাকে সান্ত্বনা দেন।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বেলা সাড়ে ১১টায় পৌঁছান উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গাশিবিরে। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন।