রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৭
গত ২৪ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে একযোগে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এই হামলার সূত্র ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি, এই সংখ্যা আরও বেশি। এছাড়াও নাফ নদীর জলসীমানা থেকে শুরু করে স্থল সীমানা পার হয়ে নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান নিয়েছে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে ১২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সরকার ও দলের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিদর্শন যাওয়ার কথা বলেন।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত ক্যাম্প ও অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিন এরদোয়ান।
বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে এসব শরণার্থীকে প্রাথমিক সাহায্য দিয়ে উখিয়ার বালুখালীতে বন বিভাগের জায়গায় তাদের থাকার জন্য অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
সরকার মিয়ানমারের ঢাকাস্থ শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ডেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি রাখাইনে হামলা-নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানানো হয়েছে।