পুঠিয়ায় শিশু ধর্ষণ, সৎ বাবা গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৩:৫৯
১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়ায় সৎ বাবা সহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া গ্রামের খবির উদ্দিন (৪০) ও ওহাব আলী (২৬)। পৃথকভাবে দুই দিনে তারা ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা বেগম ও সৎ শিশুটিকে নিয়ে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের খোকসা গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকেন উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের ধোকড়াকুল গ্রামের খবির উদ্দিন।এরই মধ্যে গত ২৭ আগস্ট খোকসা গ্রামের মৃত লোকমান আলীর ছেলে ওহাব আলী শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টাও চলে। কিন্তু শিশুটি ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা ঘটনাটি টের পায়।
চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে লোকজন নিয়ে শিশুটির খোঁজ-খবর নিতে যান তিনি। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে জানায় যে, প্রায় এক মাস আগে শিশুটির মা বাড়ির বাইরে থাকা অবস্থায় তার সৎ বাবা খবির উদ্দিনও তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় খবির। তাই ভয়ে শিশুটি কাউকে কিছু জানায়নি। এরপর গত ২৭ আগস্ট সকালে শিশুটির মা ও সৎ বাবা বাড়ির বাইরে থাকায় বাড়িতে একা পেয়ে ওহাব আলী নামের ওই যুবক শিশুকে দ্বিতীয় বারের মতো ধর্ষণ করে।
চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন আরো বলেন, আগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে দ্বিতীয় ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে খবির উদ্দিন। কিন্তু মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় জানাজানি হয়ে যায়। মেয়েটির নিকট ধর্ষণের এমন লোমহর্ষক ঘটনা জানার পরে থানা পুলিশকে খবর দেই। এরপর থানা পুলিশ এসে দুই ধর্ষককেই গ্রেপ্তার করে।
পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) রাকিবুল হাসান জানান, নির্যাতিত শিশুটিকে রামেক হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দু'জনের বিরুদ্ধেই ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।