বাকরুদ্ধ রূপার পরিবার, শোকে শয্যাশায়ী মা
প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৬:১৬
টাঙ্গাইলে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার রূপার বাড়িতে চলছে মাতম। রূপাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। শোকে মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোনকে হারিয়ে বার বার শোকে মুর্ছা যাচ্ছে দুই বোন পপি ও জিয়াসমিন। এলাকাবাসীর চোখেও ঝরছে পানি। মা, তিন বোন ও দুই ভাইয়ের সংসারের চোখে-মুখে অন্ধকার।
এদিকে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠছে তাড়াশসহ পুরো সিরাজগঞ্জ জেলার সাধারণ মানুষ। নিহত জাকিয়া সুলতানা রূপা তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের আসানবাড়ী গ্রামের মৃত জেলহক প্রামানিকের মেয়ে। রূপা বগুড়া আজিজুল হক কলেজে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে ঢাকা আইডিয়াল ‘ল’ কলেজে পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে ইউনিলিভার কোম্পানিতে চাকুরি করতেন।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ ঘটনাটিকে ন্যাক্কারজনক ও বেদনায়ক উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনীয় কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল পুলিশ প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। রূপার পরিবারের পাশে সিরাজগঞ্জ প্রশাসন সবসময় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা জানান, সংবাদ পাবার পরপরই উপজেলা প্রশাসনকে রূপার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
কলেজ ছাত্রী রূপা খাতুনকে টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠছেন। প্রতিবাদের ঝড় ওঠতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জে। বুধবার হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ সদর ও তাড়াশে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। সকালে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজ রূপা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।