চলন্ত বাসে ধর্ষণ: চালক ও সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি
প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০১৭, ২০:০৬
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত বাসচালক হাবিব ও সুপারভাইজার গেন্দু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এসময় একজন সাক্ষীরও জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আজ ৩০ আগস্ট (বুধবার) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমিনুল ইসলাম, গোলাম কিবরিয়া ও মো. শামছুল হক আলাদাভাবে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক কাইয়ুম খান চৌধুরী। জবানবন্দি দেন, বাসচালক ময়মনসিংহের মির্জাপুরের শহিদুল ইসলামের ছেলে হাবিব, সুপারভাইজার একই এলাকার সুলতান আলীর ছেলে সফর আলী ওরফে গেদু।
এছাড়াও একই বাসের আরেক হেলপার ময়মনসিংহের লিটন মিয়া ঘটনার সাক্ষী হিসাবে জবাববন্দি দেন। সে ঘটনার ২ দিন পর ওই বাসে হেলপারী করতে গিয়ে লিটন ঘটনাটি বাসের স্টাফদের কাছে জানতে পেরেছিল বলে জানান উপ-পরিদর্শক।
এ নিয়ে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৫ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ একজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হল। এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় গ্রেপ্তার বাসের হেলপার কামাল হোসেনের ছেলে আকরাম হোসেন, হেলপার এমদাদুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও হেলপার মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দীবাড়ির খোরশেদ আলীর ছেলে শামীম হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারক বাসচালক ও সুপারভাইজারকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শারিরিকভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করে অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায় ধারনা করে ২৬ আগস্ট (শনিবার) হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানা পুলিশ। এরপর থেকে অপরাধীদের সনাক্ত করার জোর চেষ্টা চালায় তারা।
তরুনীর বড় ভাই গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট (সোমবার) রাতে মধুপুর থানায় উপস্থিত হয়ে লাশের ছবি দেখে পরিচয় সনাক্ত করে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্যর উপর নির্ভর করে তদন্ত করে পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা জানতে পারে।