‘শেখের বেটি খোঁজ নিতে আসছে এতেই হামরা খুশি’
প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৭, ১৬:৫৫
বানের মধ্যে শেখের বেটি হামার ঘরে খোঁজ নিতে আসছে এতেই খুশি। বাবা এর চাইতে আর কী খুশি আছে। শেখের বেটির হাত থেকে পাওয়া ত্রাণ হামার খুব উপকার হবে। আল্লাহ শেখের বেটি আর এমপি কালামকে বাঁচে রাখুক এই দোয়া করি।
ত্রাণ পাওয়ার পর কথাগুলো বলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের আম্বিয়া বেগম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ত্রাণ নিতে পেরে খুশি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বন্যার্ত মানুষেরা। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আমন ধানের চারা পাওয়ায় নতুন করে তাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। ২৬ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বন্যাদুর্গত তিন হাজার মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী ও ৯০ জন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের হাতে আমন ধানের চারা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ত্রাণ পাওয়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের আছিয়া বেগম বলেন, ১৪ দিন হলো বানের পানিতে ঘর ডুবে আছে। স্বামীর কাজকাম না থাকায় ঘরের খাবার শেষ হয়ে গেছে চার দিন আগে। ধার দেনা করে স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে এক বেলা ভাত জুটলেও দু’বেলাই না খেয়ে থাকতে হয়। এমপি হামার নাম দেওয়ায় শেখের বেটি ত্রাণ দিলো। শেখের বেটির ত্রাণ দিয়ে এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে দু’বেলা হলেও খেতে পাবো।
ত্রাণ পাওয়া ষাটোর্ধ্ব সামছুল হক মুন্সি বলেন, নৌকায় সারাজীবন ভোট দিছি। কিন্তু কোনোদিন কোনও কিছু পাই নাই। এইবার হামার ভোট কাজোত নাগছে। বানের পানিতে ডুবে থাকা হামার কষ্ট দেখপার প্রধানমন্ত্রী হামার এলাকায় আসছেন। হামার ঘরে খোঁজখবর আর হাতত ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন। হামার আর কোনও কষ্ট নেই। ত্রাণের বস্তায় চাল, ডাল, শুকনা খাবার, ম্যাচ, মোমবাতি সবই আছে। এসব দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে কয়েকদিন ভালোভাবে চলতে পারবেন বলে জানান তিনি।
শুধু আছিয়া, আম্বিয়া বেগম ও সামছুল হক মুন্সিই নয় বন্যাদুর্গত এলাকার তিন হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ পাওয়ায় খুশি হয়েছেন। এছাড়া দুর্গত এলাকার ৯০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পেয়েছেন আমন ধানের চারা।