শিক্ষিকাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি
প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৭, ১৯:৩৯
বেতাগীর স্কুলে শিক্ষককে ধর্ষণের ঘটনার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদনে অবশ্য ওই নারী শিক্ষাকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে একং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই ডাক্তারি পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার শিক্ষক এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২০ আগস্ট (রবিবার) তিনি বলেছেন, ‘এটা অসম্ভব। যদি এটা হয়, তাহলে বলব, ফলাফল উল্টে দেওয়া হয়েছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত, পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত প্রমাণিত হবে।’
বরগুনার বেতাগী উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষককে (৩০) গত ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) স্কুলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। ওই সময় তার স্বামীকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। ওই দিন রাতেই ছয় যুবককে আসামি করে বেতাগী থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষক।
এ ঘটনায় ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার পর গত ২০ আগস্ট (রবিবার) প্রতিবেদন জমা দেন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক আজমিরি বেগম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজমিরি বেগম সাংবাদীকদের বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়ে নারীর পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় জড়িত থাকে। এ জন্য এটা ধর্ষণ কি না, সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। তবে তার হাতে ও গালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’ আলামত পরীক্ষাকারী এই চিকিৎসক গত ১৯ আগস্ট (শনিবার) বলেছিলেন, ‘পরীক্ষায় সম্ভবত ধর্ষণের আলামত মিলেছে।’
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বরগুনার সিভিল সার্জন জসিম উদ্দিন হাওলাদার ২০ আগস্ট (রবিবার) দুপুরে বলেন, শিক্ষিকাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া না গেলেও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হতে পারে। কারণ, ওই শিক্ষিকার হাতে ও গালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বলেন, ২০ আগস্ট (রবিবার) সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসান রবিউলকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওইদিন রাতে বেতাগী থানায় মামলা হয়। এ মামলার আসামিরা হলেন, বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, আবদুল বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল, আ. কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী, সুলতান হোসেনের ছেলে রবিউল, আ. রহমানের ছেলে হাসান ও আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে জুয়েল।