৩ দিনের বন্যায় দেশে শিশুসহ ৩৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৭, ২২:২২ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৭, ২২:৩১

অনলাইন ডেস্ক

সারাদেশে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় তিনদিনে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই শিশু। নিখোঁজ আছে আরও পাঁচজন, এর মধ্যেও তিনজনই শিশু। বন্যায় দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২০টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। 

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সব তথ্য পাওয়া যায়।

গত ১৩ আগস্ট (রবিবার) দিনাজপুরে বন্যার পানিতে একই পরিবারের তিনজনসহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এসব মানুষ ভেলায় করে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছিল। পরে ভেলা উল্টে বন্যার পানিতে ডুবে যায় তারা। মৃতদের মধ্যে ১০ জনই শিশু। তারা হলো- সদর উপজেলায় শিহাদ (৭), স্মৃতি (৭), শহীদ আলী (১০), চুমকি (১৩), নাঈম (১৬), মেহেদী হাসান (১৫)। কাহারোল উপজেলায় ভেলা উল্টে চার শিশু মারা যায়। তাদের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গত ১৪ আগস্ট (সোমবার) সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামে মারা যায় চার বছর বয়সী মৃদুল মিয়া। উঠানে চলে আসা বন্যার পানিতে মারা যায় সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের চার বছর বয়সী শিশু শাহান মিয়া।

লালমনিরহাটের কুলাঘাট ইউনিয়নে গত ১৩ আগস্ট (রবিবার) পাঁচ বছর বয়সী শিশু নাজিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার উদ্ধার হয় আরো চারজনের লাশ। ওই পাঁচজন ভেলায় করে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। ভেলা ডুবে গেলে এরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং নিখোঁজ হয়। মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অন্য শিশুরা হলো আলিম (১০) ও মোতালেব (১৫)।  

গাইবান্ধায় ১৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুই শিশু মারা গেছে বলে জানা যায়। এর একজন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুকানুপুর ও অন্য শিশু ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তবে এদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।

কুড়িগ্রামে গত তিনদিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে আটজন মারা গেছে। সিরাজগঞ্জে সাপের কামড়ে কদভানু (৫২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন নদী থেকে রিয়াদ (২০) নামে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।

জামালপুরের মেলান্দহে কোমল (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে বন্যার পানিতে তলিয়ে মারা যায়।

নেত্রকোনায় বৃদ্ধসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বন্যার পানিতে। 

কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মকবুল হোসেন নামে ওই ব্যক্তির বয়স ১২০ বছর। রাস্তা পার হতে গিয়ে মকবুল বন্যার পানিতে পড়ে যান। অন্যদিকে জামাল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি ভেঙে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটির তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

এছাড়া তিনদিনে বন্যায় কুড়িগ্রামে নিখোঁজ আছে দুজন। ঠাকুরগাঁওয়ে তিন শিশু নিখোঁজ আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।