মসজিদে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করল মুয়াজ্জিন
প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৫:০৭ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৫:১১
মসজিদে আরবী শিক্ষা গ্রহণকারি ১ম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশুকন্যাকে মসজিদেই ধর্ষণ করেছে মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং আরবী শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন খাঁন। ধর্ষণের শিকার শিশুটি বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
১৩ আগস্ট (রবিবার) সকাল ৮টায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাকিয়ারচর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করেছে। গ্রেপ্তার মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং মোক্তবের শিক্ষক ধর্ষক জাকির একই এলাকার মৃত ইদ্রিস খাঁনের ছেলে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা শিশুটি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার স্থানীয় কাকিয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী এবং কাকিয়ারচর পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের মক্তবে আরবী শিক্ষা গ্রহণ করে। সে গত ১৩ আগস্ট (রবিবার) সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিদিনের ন্যায় আরবী শিক্ষা গ্রহণের জন্য ওই মসজিদে যায়।
ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং মোক্তবের শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন খাঁন সকাল ৮টায় মোক্তবের সকল ছাত্র/ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে মসজিদের বারান্দা ঝাড় দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে রেখে দেয়। পরে মসজিদের বারান্দার দক্ষিণ পাশে নারীদের নামাজের স্থানে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে মুয়াজ্জিন ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় শিশুটি বাড়িতে এসে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে ঘটনাটি বলে এবং এক পার্যায়ে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় শিশুটির মা তাছলিমা আক্তার শিশুটির পরনের কাপড়ে রক্ত দেখে ধর্ষণের বিষয়টি বুঝতে পারেন।
তিনি তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মামা মামুনুল হক বাদী হয়ে ১৩ আগস্ট (রবিবার) রাতে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক জাকির হোসেনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ১৪ আগস্ট (সোমবার) তাঁকে কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।