কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ৫ জনের মৃত্যু
প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১২:৫৪
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত দুই দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৯ উপজেলার ৬০ ইউনিয়নের ৭শ ৬৩ গ্রামের প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষ। ঘর-বাড়ী ছেড়ে বানভাসীরা আশ্রয় নিয়েছে পাকা সড়ক উচু বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ১০১ সোন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, নুন খাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গেছে প্রায় দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি। অনেক পরিবার এক কাপড়ে অবস্থান করছেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
কুড়িগ্রামের টগরাইহাট এলাকায় বন্যার পানির তোরে রেল সেতুর গার্ডার দেবে যাওয়ায় সারা দেশের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক তলিয়ে ৪টি পয়েন্টে ধ্বসে যাওয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সোনাহাট স্থল বন্দরসহ নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৫ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠন। তলিয়ে গেছে ৫০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষেত।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল আউয়াল উদ্দিন আহমেদ বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১শ ৫০ প্যাকেট করে প্যাকেজ ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছেন। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিজিবি পরিচালক।
বন্যার্তদের জন্য স্বল্প পরিসরে ত্রাণ তৎপরতা চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ১৭ লাখ ৫ হাজার টাকা, ৬শ ৫১ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার শুকনো খাবার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।