স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় এসআই গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৪:৩৬
স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গাইবান্ধা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ চন্দ্র্র সাহা (৩৩) ও মামা পূর্ণ চন্দ্র সাহাকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ।
১২ আগস্ট (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাইবান্ধা সদর থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া পূর্ণ চন্দ্র সাহাকে গাইবান্ধা শহরের মাষ্টারপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ১২ আগস্ট (শনিবার) বিকেলে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দেবাশিষসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন লাবণীর বাবা গোবিন্দ চন্দ্র সাহা। এই মামলার অপর আসামিরা হচ্ছে দেবাশিষ চন্দ্র সাহার বাবা নির্মল চন্দ্র সাহা (৬১), মা আলো রানী সাহা (৫৫), বোন প্রীতিলতা সাহা প্রীতি (৩৬), ভগ্নিপতি তপন কুমার সাহা (৪০) ও মামা পূর্ণ চন্দ্র সাহা (৫৫)। স্ত্রী লাবণী সাহার বাবার দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় দেবাশিষ ও তার মামা পূর্ণচন্দ্র সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
লাবণীর বাবা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৩ মার্চ লাবণীর সঙ্গে কুড়িগ্রামের বৈরাগীপাড়া এলাকার দেবাশিষের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দেবাশিষ ঢাকায় সিআইডিতে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি বদলি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় আসেন। লাবণীকে নিয়ে গাইবান্ধা জেলার শহরের হাসপাতাল লেনের মাস্টারপাড়া একটি ভাড়া বাসায় উঠেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দেবাশিষ যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ে লেখাপড়া করতেন তখন সুন্দরগঞ্জের ধোপাডাঙ্গা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এক সময় তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কিন্তু দেবাশিষ বিষয়টি গোপন করে লাবণীকে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে লাবণী ওই প্রেমের বিষয়টি জেনে গেলে দেবাশিষ তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে।
ঘটনার দিন ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে দেবাশিষ লাবণীকে মারধর করে। পরে বাসায় লাবণীকে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায় দেবাশিষ। এভাবে আগেও বেশ কিছু দিন লাবণীকে ঘরে আটক রেখে রাতেও বাইরে থাকতো দেবাশিষ।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ফারুককে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে দেবাশিষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।