তিন বছর ধরে ভাগ্নিকে ধর্ষণ, খালু আটক

লক্ষ্মীপুরে গত তিন বছর ধরে আটকে রেখে কলেজছাত্রী ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে খালু জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। ১১ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকার একটি বাসা থেকে স্থানীয়রা জাহাঙ্গীরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ সময় নির্যাতিতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আটক জাহাঙ্গীর আলম সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। মেয়েটি ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীর আলমের ঢাকার বাসায় বেড়াতে যায় তার শ্যালিকার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। ওই সময় তাকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত জাহাঙ্গীর। এক পর্যায়ে তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতে থাকে জাহাঙ্গীর। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাতে পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় নিয়ে আসা হয় ওই ছাত্রীকে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা কাউন্সিলর মো. রায়হানকে ঘটনাটি অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে খালু জাহাঙ্গীর ও নির্যাতিতা মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজী হয় জাহাঙ্গীর আলম।

নির্যাতিতা ওই কলেজছাত্রী জানান, গত তিন বছর ধরে ঢাকার বাসায় আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে খালু জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় খালুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মো. রায়হান জানান, ধর্ষণের বিষয়টি জানার পর জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।