ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে, যুবক গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০১৭, ২৩:৪৫
রংপুর কারমাইকেল কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার স্থির ও ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে নুর মুহাম্মদ নামের এক যুবককে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ ঝুনাগাছ এলাকার শফিয়ার রহমানের ছেলে। ডিমলায় একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পাশ করেছে নূর মোহাম্মদ।
৯ আগস্ট (বুধবার) দুপুরে রংপুর পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাতে রংপুর নগরীর লালবাগ কলেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, একই এলাকার মেয়েটি রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় নূর মোহাম্মদের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল মেয়েটিকে রংপুর শহরের জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ এবং তা ফোনে ভিডিও করে রাখে নূর। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সম্প্রতি মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে নূর মোহাম্মদ ভিডিওটি ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় এবং মেয়েটির কিছু অশ্লীল ছবি তার পরিচিত রুমমেটদের ফেববুকের মেসেঞ্জারে প্রেরণ করে।
বিষয়টি জানার পর গত ৬ আগস্ট মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার কারণ জানতে পেরে তার সহপাঠীরা বিষয়টি পিবিআইকে জানায় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এরপর ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) নির্যাতিত ওই ছাত্রী রংপুর কোতোয়ালি থানায় নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন।
তিনি বলেন, এরপর মেয়েটি ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে নূর মোহাম্মদকে ডেকে আনে। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা পিবিআইর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি পেনড্রাইভ, তিনটি মেমোরি কার্ড, চারটি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়। জব্দ করা পেনড্রাইভ ও মেমোরি কার্ডে ধর্ষণের ভিডিও ও স্থিরচিত্র পাওয়া গেছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
কোতোয়ালি থানায় মেয়েটি মামলা করার পর পিবিআই স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার তদন্তভার নেয় বলে জানিয়েছেন পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার মজিদ আলী।