টাঙ্গাইলে সৎ বাবার ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা
প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০১৭, ১৭:২৯ | আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৩২
এবার টাঙ্গাইলে সৎ বাবার লালসার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। জেলার ঘাটাইল উপজেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার ফুলমালিরচালা গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, গত সাত বছর আগে তার মায়ের সঙ্গে বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর তারা ফুলমালীরচালায় নানার বাড়িতে চলে আসে। এখানে তাকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর তার মায়ের সঙ্গে একই এলাকার কামরুল ইসলামের বিয়ে হয়। প্রথম কয়েক বছর তাদের সংসার ভাল চললেও এরপর কামরুলের লালসার দৃষ্টি পড়ে তার উপর। তার মা এ বিষয়টি টের পেয়ে তাকে নানা বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে মায়ের সাথে কামরুলের মনোমালিন্য হয়, এমনকি মায়ের উপর পাশবিক নির্যাতন চালাতো কামরুল।
ঐ কিশোরী জানায়, নয় মাস আগে হঠাৎ একদিন মাকে দেখতে সৎ বাবার বাড়ি যায় সে। রাতে বাড়ির সবার সাথে ঘুমিয়ে পড়ে সে। ভোর রাতে তার মা পাশের একটি মুরগীর খামারে প্রতিদিনের মতো মুরগীকে খাবার দিতে গেলে সৎ বাবা কামরুল অতর্কিতভাবে মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাটি কাউকে জানালে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
কিশোরীর মা বলেন, "মৃত্যু ভয়ে মেয়ে প্রথমে বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু এর কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে গর্ভবতী বলে সনাক্ত করেন। প্রথমে বিষয়টি গোপন থাকলেও পরে মাদ্রাসার সহপাঠী ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানাজানি হয়ে যায়"।
ঐ কিশোরীর মা জানান, শুরুর দিকে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। এরপর ঘাটাইল থানায় মামলা করতে গেলে ঘাটাইল থানা পুলিশও মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। পরে গত ২৪ জুলাই টাঙ্গাইল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সৎ বাবা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তিনি।
তবে মামলা দায়ের হলেও অভিযুক্ত লম্পট পিতাকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। এর ফলে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মেয়েটির পরিবার। এখন বিচারের জন্য নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নির্যাতিতার মা।