স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত
প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৭, ১২:০২
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের আলমগীর খান এর মেয়ে আছমা বেগম (৩০) স্বামীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১২ বছর পূর্বে একই উপজেলার রজিহার ইউনিয়নের বসুন্ডা গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা’র সাথে আছমা বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তারা ঢাকায় বসবাস করত।
বিয়ের পর থেকেই আছমা বেগমের স্বামী মনির মোল্লা যৌতুকের জন্য স্ত্রী সহ শ্বশুড়-শাশুড়িকে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নিহত আছমার পিতামাতা চাহিদামত টাকা ধারকর্জ করে প্রদান করতেন। তারপরেও আছমার সাথে কখনো ভালো ব্যবহার করত না তার স্বামী। প্রায়ই তাকে মারধর করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শুরু হলে একপর্যায়ে মনির মোল্লা তার স্ত্রীর পিঠে ছুরিকাঘাত করে।
ছুরিকাঘাতের পর মনির তার স্ত্রী আছমাকে নিয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ আদ-দ্বীন হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর মনির মোল্লা কৌশলে নিহত স্ত্রী’র লাশ ফেলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় নিহত আছমা বেগমের ছোটভাই বাদি হয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত আছমার ১১ বছর বয়সের একটি মেয়ে ও ৪ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
নিহতের বাবা আলমগীর খান বলেন, "মেয়ের বিয়ের পর থেকে জামাইয়ের চাহিদামত এ পর্যন্ত তাকে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন আমার মেয়েকে হত্যা করা হলো? আমি ওই খুনীর উপযুক্ত বিচার চাই"।