হিল্লা বিয়েতে বাধ্য করায় মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় সরকারি আইন অমান্য করে হিল্লা বিয়ে পড়ানোর অপরাধে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। হাজী শাহ আলম নামের এই শিক্ষক উপজেলার বড়ভৈরব গ্রামের বাসিন্দা এবং বড়ভৈরব ফরকানিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক।

উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের বড় ভৈরব গ্রাম থেকে ৪ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুরে তাকে আটক করা হয়।

এর আগে গত ২ আগস্ট (বুধবার) রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক শাহ আলম বড় ভৈরব গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত গৃহবধূ রুমা খাতুনকে জোর করে হিল্লা বিয়ে দেন।

উল্লাপাড়ার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কউশিক আহমেদ জানান, দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে হিল্লা বিয়ে পড়ানোর অপরাধে মাদ্রাসা শিক্ষক হাজী শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে গৃহবধূ রুমা খাতুন অভিযোগ করলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৮ মাস আগে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই গ্রামের এরশাদ আলী তার স্ত্রী রুমা খাতুকে তালাক দেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। এই ছেলের সুবাদে এরশাদ ও রুমা আবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। গত সপ্তাহে তারা সিরাজগঞ্জ আদালতে নতুন করে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি ভৈরব গ্রামের মুসল্লিরা। হাজি শাহ আলম গ্রামে ফতোয়া দেন রুমাকে হিল্লা বিয়ে দিয়ে পরে আবার তার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে বিয়ে দেয়া হবে। ৩ মাস ১৩ দিন মেয়াদে হাজি শাহ আলম রুমাকে বুধবার রাতে এরশাদ আলীর ছোট ভাই ইউসুফ আলীর সঙ্গে বিয়ে দেন।