সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৮:২২
টাঙ্গাইলের সখীপুরে একটি নির্জন ঘরে ৬ মাস ১৭ দিন আটকে রেখে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি মো. বাদল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ ৪ আগস্ট (শুক্রবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করে বলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজের ৬ মাস ১৭ দিন পর গত ৩০ জুলাই (রবিবার) রাতে বাদল মিয়ার পরিত্যক্ত নির্জন বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ৩১ জুলাই (সোমবার) রাতে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে প্রতিবেশী চাচা মো. বাদল মিয়াকে আসামি করে সখীপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি মেয়েটি তার নানা বাড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে নিখোঁজ হয়। তিন বছর আগে মেয়েটির মা মারা যাওয়ায় বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এর ফলে মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। প্রেমের টানে মেয়েটি বাড়ি ছেড়েছে ভেবে তার ভাই তখন নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইলের এক কলেজছাত্রের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। প্রতিবেশী চাচা সম্পর্কের বাদল মিয়া তাকে প্রেমিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। মেয়েটির ভাই দাবি করেন, বাদল মিয়া কৌশলে তার বোনকে অপহরণ করে ওই ঘরে দীর্ঘদিন আটক রেখে তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকালে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে বিকেলে নারী ও শিশু আদালতের হাকিম রুপম কান্তি দাস কিশোরীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।