গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ!
প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০১
গর্ভপাতে রাজি না হওয়ায় স্বামী ও তার সহযোগীদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন যশোরের এক গৃহবধূ। ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ সাইফার ঘটনাটি সরেজমিন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
মা আর ঘটনার দুইজন প্রত্যক্ষদর্শীকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ওই নারী।
লিখিত বক্তব্যে ওই গৃহবধূ জানান, ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর যশোরের অভয়নগরের আবাসিক হোটেল ‘আল সেলিমের’ মালিক জনি সরদারের (২৫) সাথে তার বিয়ে হয়। সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি তিনি স্বামী জনিকে জানান। এ সময় জনি গর্ভপাতের কথা বলে। এতে তিনি রাজি হননি। এ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গত ৭ জুলাই অভয়নগর থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফার মীমাংসার কথা বলে আল সেলিম হোটেলে তাকে ডেকে নেন। সে সময় হোটেলে সাইফার ও জনি ছাড়াও সুমন, আজিম ও রুবেল নামে আরো তিনজন ছিল। সেখানে সাইফারও তাকে গর্ভপাত করানোর কথা বলেন। তাতে রাজি না হওয়ায় হোটেলের দ্বিতীয় তলার একটি কে নিয়ে পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি ওই পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত করছে।
গৃহবধূ অভিযোগ করেন, মামলার পর তিনি অভয়নগর যেতে পারছেন না, সাইফারের লোকজন নানাভাবে তাকে হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর সাথে থাকা মারুফ শেখ ও সেলিম মল্লিক নামে দু’জন সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন। মারুফ শেখ জানান, ওই হোটেলের পাশে তার মুদি ও কাঁচামালের দোকান। ৭ জুলাই দুপুরে কান্নার শব্দ শুনে হোটেলের দোতলায় উঠে তিনি দরজায় ধাক্কা দেন। দরজা খুলে গেলে সেখানে ওই নারী এবং মামলার পাঁচ আসামিকে দেখেন। বিষয়টি তিনি দেখে ফেলায় জনি তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক যুবলীগ নেতা শেখ সাইফার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৪১ বছর রাজনীতি করি। আমার বর্তমান বয়স ৫৭। ছাত্রলীগ, যুবলীগ থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুতেই জড়িত ছিলাম।’ তিনি বলেন, জনি অনেক ছোট, তার সাথে এ ধরনের ঘটনা ভাবা যায় না। গত বুধবার পিবিআই, গোয়েন্দা দল এলাকায় এসেছে। আমাকেও তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সাইফারের দাবি, অভয়নগর থানায় আড়াই বছর আওয়ামী লীগের কমিটি নেই। এই সুযোগে তার প্রতিপ তাকে ঘায়েল করতেই এই ‘নোংরা অভিযোগ’ করাচ্ছে ওই তরুণীকে দিয়ে।