হাওরে ফসলহানি: সচিবসহ ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৪৭
সুনামগঞ্জে হাওরের হাজার কোটি টাকার ফসলহানির ঘটনায় একটি মামলা করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এর আগে এ ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এই মামলাটি দায়ের করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৫ কর্মকর্তা, ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের ৪৬ জন ঠিকাদার এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ৭৮ জনসহ মোট ১৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
আদালতের বিচারক সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. মুজিবুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। মামলায় সচিব ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। সচিবের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে দণ্ড বিধির ৫০৫ (এ) ধারার অভিযোগ। এই ধারায় উল্লেখ আছে, ‘কথা ইত্যাদি কর্তৃক অনিষ্টকর কার্য।’
মামলার বাদী মো. আবদুল হক বলেন, আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুলাই হাওরে ফসলহানির ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় পাউবোর ১৫ কর্মকর্তা ও ৪৬ জন ঠিকাদারকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক আহমদ। ওই মামলায় পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিন ও বাঁধের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইব্রাহিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন কারাগারে আছেন।
দুদকের মামলায় পাউবো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ঠিকাদারদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়। ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ঠিক সময়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না করে কৃষকদের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ। আইনজীবীদের দায়ের করা মামলায় দুদকের দায়ের করা মামলার ৬১ আসামির সঙ্গে ত্রাণ সচিব এবং পিআইসির ৭৮ জনকে আসামি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।
দায়ের করা মামলার আসামির তালিকায় ১৪০ নম্বরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের নাম রয়েছে।