বিয়ের আশায় ইসলাম গ্রহণ করে বিপাকে তরুণী
প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৭, ১৬:০৮
সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজের ছাত্রী গোলাপী রানী দাস বিয়ের আশায় ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করে মোছা. রেখা খাতুন ওরফে স্বপ্না হয়েছেন।
২৮ জুলাই (শুক্রবার) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ফুলকোচা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ৪ আগস্ট (শুক্রবার) এ বিষয়ে শালিস বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
রেখা খাতুন ওরফে স্বপ্না তার প্রেমিককে পেতে ১১ দিন ধরে সদর উপজেলার ছোনগাছা বাজারে বাগবাটি ইউপি সদস্য আব্দুল কাদেরের বাড়িতে বিচারের আশায় অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজছাত্রী স্বপ্না আভিসিনা হসপিটালে নার্সের চাকরির পাশাপাশি পড়াশুনা করছেন। এরই মধ্যে রায়গঞ্জ থানার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেগনাই গ্রামের ডা. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মাহবুব আলম নামে এক বিবাহিত যুবকের খপ্পরে পড়েন। মাহবুব স্বপ্নাকে অবিবাহিত পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্বপ্নাকে বিয়ের কথা বলে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হয়।
গত ২১ জুলাই (শুক্রবার) দুইজনে ফুলকোচায় স্বপ্নার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে। ২৯ জুলাই (শনিবার) গভীর রাতে মাহবুব আলম ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
স্বপ্না বলেন, আমি মাহবুব আলমকে নিয়ে মন্দিরে যাই এবং আমার ধর্ম অবলম্বনে আমাকে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। তখন থেকে আমরা দুইজন সংসার করি।
স্বপ্নার বাবা বৈদ্যনাথ জানান, চেয়ারম্যান যে রায় দেবেন সেটা মেনে নেব। স্বপ্নাকে পুনরায় আমার ধর্মে আনতে হলে প্রথমে আমার সহজাতিকে ম্যানেজ করতে হবে।
পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এ ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে চূড়ান্ত বিচারের আশ্বাস দেন।
বাগবাটি ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ৪ আগস্ট (শুক্রবার) পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদে শালিসি বৈঠক বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, এলাকার লোকজন মেয়েটাকে আমার বাড়িতে স্থান করে দেওয়ায় আমি সমস্যায় পড়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি বিচারকদের কাছে।
সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।