বনানী ধর্ষণ: মামলায় রুদ্ধদ্বার সাক্ষ্য দেবেন ছাত্রী
প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৭:২৯
রাজধানীর বনানীর রেইন-ট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার (ক্যামেরা ট্রায়াল) আবেদন জানিয়েছেন বাদিনী। তিনি ধর্ষণের শিকার ওই দুই তরুণীর একজন।
২৪ জুলাই (সোমবার) সকালে ঢাকার ২ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন বাদিনী। ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
২৪ জুলাই (সোমবার) সকালে রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক শফিউল আজমের আদালতে আবেদন করেন বাদী। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আলী আকবর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, ‘আজ পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বাদী রুদ্ধদ্বার কক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।’
গত ৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি।
অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।