পোড়া মবিল দিয়ে রাস্তা কার্পেটিং
প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৭:০০
এবার রাস্তা তৈরীতে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পোড়া মবিল ব্যবহারের ফলে রাস্তা তৈরীর ৫ দিনের মধ্যে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বামনের বাসা হতে খালেক মোকতারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করণের কাজে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে উল্টো এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছে ওই ঠিকাদার।
লালমনিরহাট এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিবার তদন্ত করে নিম্নমানের কাজের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছেন।
জানা গেছে, ওই উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের বামনের বাসা-খালেক মোকতারের বাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) লালমনিরহাট থেকে প্রায় ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের তদারকির করবেন আদিতমারী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। কাজটি ঠিকাদার আলমগীর হোসেনের নামে কাগজে কলমে থাকলেও তার নামে কাজ করছেন স্থানীয় ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম।
ওই ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কতিপয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আতাঁত করে বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবিল দিয়ে রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করেন। প্রথম থেকেই স্থানীয় লোকজন কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও কোন কর্ণপাত করেননি ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের কেউ।
কাজ সমাপ্তির মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ দিকে ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম নিজেকে রক্ষা করতে স্থানীয় সাত জনের নাম উল্লেখ করে আদিতমারী থানায় ৩ লাখ টাকা চাঁদিবাজির একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি এলাকাবাসী জানার পর এলজিইডি’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শনে আসেন লালমনিরহাট এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম জাকিউর রহমান। তিনি তদন্তে নিম্নমানের কাজের প্রমাণ পান।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কতিপয় লোকজন অহেতুক কার্পেটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক কাজের মান একটু নিম্নমানের হয়েছে স্বীকার করে বলেন, সব ঠিক ঠাক করে দিবে ঠিকাদার।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম জাকিউল রহমান বলেন, রাস্তায় বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।