গুলশান হামলা: ১৩টি অ্যাম্বুলেন্সে লাশ সিএমএইচে

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০১৬, ১৮:৫৪ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৬, ১৮:৫৯

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর গুলশান ২ এর ৭৯ নং সড়কে হলি আর্টিসান রেস্তোঁরায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত ২০ জন বিদেশি নাগরিকের লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিকালে সেখান থেকে লাশগুলো বের করা হয়।

এর আগে দুপুরে আইএসপিআরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কমান্ডো অভিযানের আগে রাতেই হামলাকারীরা ২০ বিদেশি জিম্মিকে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে। সকালে অভিযানে নিহত হয় ছয় হামলাকারী।

কমান্ডো অভিযানে থাকা সামরিক বাহিনী শুধু বিদেশিদের তথ্য জানালেও বাংলাদেশি তিনজনও নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বলে তাদের পরিবার দাবি করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেছিলেন, মৃতদেহগুলোকে প্রচলিত নিয়ম মেনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে লাশগুলা ক্যাফে থেকে বের করে লনে রাখতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, “সাদা কাপড়ে ঢাকা ছিল লাশগুলো। একজন নারী ও একজন পুরুষ লাশের কাপড় সরিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন। এরপর ১৩টি অ্যাম্বুলেন্স লাশগুলো ক্যাফে প্রাঙ্গণ থেকে বেরিয়ে যায়"।

অ্যাম্বুলেন্স চলে যাওয়ার পর ডিএমপির উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, “যেখানে ঘটনা ঘটেছে ওই জায়গাটি কর্ডন করে রাখা হবে। বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখবেন, জায়গাটি নিরাপদ রয়েছে কি না? সেখান থেকে এভিডেন্স সংগ্রহের কাজ করা হবে”।

রেস্তোঁরার ভেতরে না ঢুকতেও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী যুবক 'আল্লাহু আকবর' বলে স্লোগান দিতে দিতে হলি আর্টিসান নামক ঐ রেস্তোঁরায় আক্রমন চালায়। এসময় তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সবাইকে জিম্মি করে নেয় ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বনানী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন ও ডিবির সহকারী কমিশনার রবিউল। পুলিশ সদস্য সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। 

উদ্ধার অভিযান শেষে দুপুরে ২০ জন বিদেশির জবাই করা লাশ উদ্ধারের কথা জানায় আইএসপিআর। তবে এখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকে জীবিত নাকি মৃত তা জানা যায়নি।