কবর থেকে তোলা হলো ইফফেতের মরদেহ
প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৭, ১৬:৫৬
স্বামী ও তার পরিবারের চাহিদামত যৌতুক দিতে না পারায় হত্যার শিকার ইফফেত আরা (২৬) এর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ১৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) তিন মাস পর কবর থেকে তোলা হয়।
১৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল নয়টার দিকে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বাগমারার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এই ঘটনার প্রায় দুই মাস পর গত ১৯ জুন ভাই মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে রাজশাহী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ইফফেত আরার স্বমী এরশাদ আলী, তার ভাই জাহিদ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ইফফেত আরার স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের রায়াপুর গ্রামের ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি এরশাদের সঙ্গে ইফফেতের বিয়ে হয়। এরশাদের দাবি অনুসারে কয়েক দফায় সাত লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। এরপর আরও যৌতুকের জন্য ইফফেতকে চাপ দেন এরশাদ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১০ এপ্রিল রাতে এরশাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা ইফফেতকে পিটিয়ে জখম করেন। এতে তিনি জ্ঞান হারান। পরে মুঠোফোনে তার ভাই মনিরুজ্জামানকে খবর দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই ইফফেতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ এপ্রিল ভোরে ইফফেত মারা যান। পরে বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ্র বলেন, গত ৯ জুলাই (রবিবার) আদালত থেকে মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি পাওয়া গেছে। পরে ১৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া জাহিদ হোসেন নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।