হাসনাত করিমের জামিন আবেদন আবারো নাকচ
প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৭, ২১:৪১
গুলশান হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমের জামিন আবেদন ফের নাকচ করেছেন ঢাকার জজ আদালত। হাসনাত করিমের আইনজীবী আব্দুল মান্নান খান জামিন আবেদনটি করেছিলেন।
১২ জুলাই (বুধবার) মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির পর তা নাকচ হয়।
মামলার এজাহারে হাসনাত করিমের নাম না থাকার বিষয়টি শুনানিতে তুলে ধরেন তার আইনজীবী।
শুনানিতে মান্নান খান বলেন, অন্য কোনো আসামি কোনো জবানবন্দিতে তার নাম বলেননি। মোবাইল কললিস্টে তার সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। নর্থসাউথ থেকে আগেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। এছাড়া তিনি কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।
অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন বলেন, এটি হলি আর্টিজানের মামলা, এই মামলায় সে জড়িত। অভিযোগপত্রে তার নাম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর একটি বিষয়- আসামির বয়স বিবেচনায় এতগুলো অসুখ একসঙ্গে থাকার কথা নয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
ওকালতনামায় আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম থাকলেও তিনি শুনানিতে ছিলেন না। আসামি হাসনাত করিমকেও আদালতে আনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গেল বছর ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অপারেশন থান্ডারবোল্টের ঠিক আগে সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৩ জন।
পুলিশের হিসাবে, সকালের এই ১৩ জনসহ হামলার পর বিদেশি নাগরিক ও হোটেল কর্মচারীসহ মোট ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও হাসনাত করিম এবং কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খান বাসায় ফেরেননি বলে তাদের পরিবার জানায়। এরপর ওই বছর ৩ অগাস্ট তাদের দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। এর মধ্যে তাহমিদকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলেও সিসি ক্যামেরায় সন্দেহজনক আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হাসনাতকে গুলশান হামলার মূল মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।