বাসায় ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ২১:০৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকার তেতুল গলির ৩৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৩৫ নম্বর লেক সার্কাস এলাকার সাত তলা বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী মো. পারভেজ।

পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে জুলহাস ঢাকাস্থ একটি বিদেশি দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন। নিহত আরেক জনের নাম তনয় জানা গেলেও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

কলাবাগান থানার এএসআই হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিহত জুলহাস মান্নান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির আপন খালাতো ভাই। হামলাকারীরা সংখ্যা ছিলেন পাঁচজন। গায়ে নেভি ব্লু টি শার্ট ও প্রত্যেকের কাঁধে ছিলো ব্যাগ। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানতে পারেন তারা। ঘটনার সময় নিহতরা ছাড়াও বাসায় গৃহকর্মী ও জুলহাসের মা ছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার আবদুল বাতেন  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করছে। কুপিয়ে হত্যা করেই পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহত নিরাপত্তা কর্মী মো. পারভেজ বলেন, বিকেলে ১০ থেকে ১২ জন লোক কুরিয়ারের পার্শ্বেল আছে বলে বাসায় ঢুকতে চান। আমি তাদের দরজায় দাঁড় করিয়ে দ্বিতীয় তলায় জুলহাস সাহেবের ফ্ল্যাটে যাই। কিন্তু তারাও আমার পিছু পিছু সেখানে যেতে চায়, মানা করলে আমার মাথায় আঘাত করে তারা। পরে দরজা খুললে জুলহাস সাহেব ও তনয় সাহেবের ওপর হামলা চালায়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত জুলহাস  সমকামী বিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবানে’র সম্পাদক ছিলেন। এমনকি গত পহেলা বৈশাখে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমকামীদের নিয়ে মিছিল করতে চান, পরে পুলিশের হাতে আটকও হন।

নিহতের প্রতিবেশী এক নারী সাংবাদিকদের বলেন, বিকেলে ডাকাত, ডাকাত চিৎকার শুনে ওই বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করি। প্রথমে যেতে না পারলেও পরে ঘরে গিয়ে দেখি চারদিকে রক্ত ছড়িয়ে আছে।

‘এ সময় ঘরের ডান দিকে দুই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতেও দেখি,’ বলেন তিনি।
 
এদিকে স্থানীয় লোকজন জানায়, ডাকাত ডাকাত চিৎকারের পর ওই বাসা থেকে আনুমানিক ছয় থেকে সাতজনকে দৌড়ে বেড়িয়ে যেতে দেখেছেন তারা। পরে লেক সার্কাস তেঁতুলতলা মাঠের পাশ দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, যাওয়ার সময় হামলাকারীরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে যায়। একজনের হাতে পিস্তলও দেখেছেন তারা।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিআইজি মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত