যেসব ধর্মজুড়ে খাবারের ওপর বিধিনিষেধ
প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৬, ২০:৩১
বিশ্ব জুড়ে সব ধর্মের মানুষের খাবারের উপর নানা বিধি নিষেধ আছে। কোনোটা খাওয়া সম্ভব আর কোনোটা খাওয়া বারণ। বিশেষ করে আমিষ। অর্থাৎ মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে। বহু শতাব্দী ধরে এই সব বিধি নিষেধ চলে আসছে। আর নিজ নিজ ধর্মের লোক তা সহজে পালন করে চলেছেন।
ইসলাম ধর্মে শূকর
ইসলামধর্মে শূকরের মাংস ‘হারাম’। এছাড়া বেওয়ারিশ পশুপাখির মাংস হারাম এবং পশুপাখির রক্তও হারাম।
জৈন ধর্মাবলম্বীরা মূলত নিরামিষভোজী
জৈনধর্মের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হলো অহিংসা, যে কারণে অধিকাংশ জৈন নিরামিষ আহার করেন। তবে তারা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যও গ্রহণ করে থাকেন।
হিন্দুধর্মে গরু
হিন্দুধর্মে গরুকে পবিত্র বলে মনে করা হয়, তাই গো-মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ। ভেড়ার মাংস, মুরগির মাংস বা মাছ ছাড়া বস্তুত বাকি সব ধরণের মাংসই নিষিদ্ধ। হিন্দুদের একটি বড় অংশ নিরামিষ ভোজন করে থাকেন।
ইহুদিদের বিধিনিষেধ
ইহুদিদের জন্য যা খাওয়া অনুমোদিত, তাকে বলা হয় কোশার ও যা খাওয়া নিষিদ্ধ, তাকে বলা হয় ত্রেফা। কোশার হলো সেইসব প্রাণি, যাদের পায়ের খুর পুরোপুরি চেরা এবং যারা জাবর কাটে, যেমন গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া। ঘোড়া কিংবা শূকর এই কারণে কোশার নয়। কোশার মাছের আবার আঁশ ও পাখনা থাকা চাই।
বৌদ্ধধর্মে খাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ
বৌদ্ধধর্মে সব ধরণের মাংস, এমনকি মাছ ভক্ষণও নিষিদ্ধ, কেননা বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন যে, কোনো প্রাণি সত্তার মৃত্যুর জন্য তাদের দায়ী হওয়া উচিৎ নয়।
শিখদের ‘নিষিদ্ধ’ খাবার
শিখরা শূকরের মাংস খান না। সেই সঙ্গে হালাল বা কোশার মাংসও তাদের কাছে অভক্ষ্য, কেননা অন্য কোনো ধর্মের ধর্মাচারে অংশগ্রহণ করা তাদের জন্য নিষিদ্ধ।