২০২৪ সালের মধ্যে মহাকাশে জন্ম নেবে শিশু!

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ২২:১৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

মহাকাশে সন্তান জন্ম দেয়ার প্রকল্প নিয়ে নেদারল্যান্ডসের একদল গবেষক কাজ করে যাচ্ছেন ‘স্পেসলাইফ অরিজিন’ নামে একটি সংস্থায়। 

পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০৩ কিলোমিটার উপরে এই অভিযান পরিচালিত হবে। এই অভিযানের নাম ‘মিশন ক্রেডল’। মহাকাশে মানবজাতির উপনিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৪ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন গবেষকরা। এ অভিযানে স্পেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে, আর তার পর সেখানেই জন্ম নেবে শিশু। 

এ প্রকল্পকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘স্মল স্টেপ ফর আ বেবি’, ‘জায়ান্ট বেবি স্টেপ ফর ম্যানকাইন্ড’।

এদিকে গবেষণার সফলতার জন্য স্বেচ্ছেসেবী খুঁজছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে ঐ গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই পৃথিবীতে দুটি সন্তান জন্ম দেয়ার রেকর্ড থাকতে হবে। ২০২২ সালে এই নির্বাচন পর্ব শুরু হবে বলে জানা গেছে। মূলত আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছেন, এরকম নারীদের নিয়ে যাওয়া হবে।

সংস্থার সিইও কেইস মুল্ডার বলেন, ‘মানবজাতির স্বার্থেই মহাকাশে কীভাবে ভূমিষ্ঠ হবে শিশু, তা শিখতে হবে।’ 

২০২১ সালে মিশন লোটাসে একটি ইনকিউবেটর নিয়ে যাওয়া হবে মহাকাশে, সেখানে থাকবে, ‘স্পার্ম ও এগস’। ভ্রুণ হঠন হলেই তা আবার ফিরিয়ে আনা হবে। সে ক্ষেত্রে ইনকিউবেটরে থাকবে স্বাভাবিক মহাকর্ষ। সেভাবেই তৈরি করা হবে প্রযুক্তি, যাতে ভ্রূণ ভারহীনতায় না ভোগে। ভ্রূণের বয়স সাড়ে আট মাস হলে তবেই হবু মা-কে মহাকাশে পাঠানো হবে, তার আগে নয়।

প্রথমে স্পেস স্টিমুলেটরে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করা হবে। অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করা হবে, সেই প্রস্তুতিও নেওয়া থাকবে। অন্তঃসত্ত্বাকে এক্ষেত্রে স্বাভাবিক মহাকর্ষীয় বলের বাইরে রাখা হবে। ২৫ জন অংশগ্রহণকারীকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে, যাতে দু’দিনের অভিযানে কোনও না কোনও শিশু জন্ম নেয়। 

সূত্র: আনন্দবাজার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত