কয়লাখনির জন্যে ভাঙা হলো গির্জা

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:২৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা আহরণের জন্য গত শতাব্দীর তৈরি একটি গির্জাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে। জানা গেছে , কয়লা খনি সম্প্রসারণের জন্য সেখানে অবস্থিত  সেন্ট লাম্ব্যার্টুস গির্জাকে গত ১১ জানুয়ারি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ২০১৩ সালে গির্জা ভাঙার অনুমতি দেয় আদালত। 

১৮৯১ সালের ঐতিহাসিক এই গির্জাটি সেসময় প্রায় ৩ বছর লেগেছিল নির্মাণ করতে।  গির্জা ভাঙার প্রতিবাদ জানাতে  সেখানে জড়ো হয়েছিলেন স্থানীয় কিছু মানুষ ও পরিবেশকর্মী৷ তবে আগে থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷ অবশ্য বিক্ষোভের কারণে ভাঙার কাজ শুরু হতে পাঁচ ঘণ্টা দেরি হয়৷ পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘যারা সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে, তারা মানুষকেও ধ্বংস করতে পারে৷’

গির্জার পাশেই আছে এনার্জি কোম্পানি আরডাব্লিউই-এর একটি কয়লাখনি৷ সেখান থেকে ‘ব্রাউন কোল' বা বাদামি কয়লা, যা লিগনাইট নামেও পরিচিত, উত্তোলন করা হয়৷ খনিটি সম্প্রসারণ করতে ঐ এলাকার বাসিন্দাদের আগেই অন্য এলাকায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷

এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছিল৷ পরে জার্মানির সাংবিধানিক আদালত এই বিষয়ে একটি রায় দেয়৷ এতে বলা হয়, কয়লাখনি সম্প্রসারণের পক্ষে বেশিরভাগ মানুষ৷ তাই সম্প্রসারণ পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়া যেতে পারে৷ ২০১৩ সালের পর থেকে ঐ গির্জায় আর প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়নি৷

উল্লেখ্য, জার্মানির মোট জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ আসে কয়লা থেকে৷ এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বাদামি কয়লা বা লিগনাইট, যা বেশি দূষণ ছড়ায়৷ তবে জীবাশ্ম ও পরমাণু জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে জার্মানি৷ ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত প্রসার ঘটছে৷

কয়লাখনি সম্প্রসারণে পরিবেশবাদীদের সমালোচনার জবাবে এনার্জি কোম্পানিগুলোর বক্তব্য হচ্ছে, সৌর ও বায়ুশক্তি উৎপাদন যখন কম হবে তখনকার চাহিদা মেটাতে কয়লার ব্যবস্থা রাখতে হবে৷

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত