ভারতের আবারও চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ

প্রকাশ | ১৫ মে ২০১৭, ১৭:৪৫

অনলাইন ডেস্ক

অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ করে ২২ বছরের এক তরুণীকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। ভারতের দিল্লিতে ১৫ মে (রবিবার) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবারও আলোচিত সেই নির্ভয়া কাহিনির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। যেখানে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে দেওয়া মেডিকেলছাত্রীর শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিলো।

ভারতের পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তরুণীর বাড়ি সিকিমে। তবে তিনি দিল্লিতে থাকেন। বাড়ি ফেরার পথে তিন ব্যক্তি তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর চলন্ত গাড়িতে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন।

ওই তরুণীর বয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গণধর্ষণের পর তরুণীটিকে গাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই তিনজনের একজন দীপক নামের এক ব্যক্তি। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই তরুণীর বয়ান ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কয়েকটি গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে।

এদিকে ওই দিনই হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ জানায়, ২৩ বছর বয়সী সুমিত নামের এক যুবক বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে তার সাবেক প্রেমিকাকে অপহরণ করেন। তাকে ধর্ষণ করার পর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে পরে গাড়িচাপা দেওয়া হয়। মেয়েটির লাশ এক শিল্প এলাকার আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা কয়েকটি কুকুরকে মানুষের দেহাবশেষ খেতে দেখলে মেয়েটির লাশের খোঁজ মেলে।

হরিয়ানার ঘটনায় নারী ও মানবাধিকারকর্মী এবং রাজনৈতিক নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এর মধ্যেই দিল্লিতে এ ধরনের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল।