ন্যামের ‘গুপ্তহত্যা’: সন্দেহভাজন আরেক নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:০৫

জাগরণীয়া ডেস্ক

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কিম জং ন্যামের সম্ভাব্য গুপ্তহত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো এক নারীকে আটক করেছে মালয়েশিয়া।

বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শকের বরাত দিয়ে এ গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বের্নামা।

তবে দ্বিতীয় আরেকজনকে গ্রেপ্তারের খবর দিলেও বের্নামা এই ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি। পুলিশের মহাপরিদর্শক খালিদ আবু বকর পরবর্তীতে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিবেন বলে খবরে বলা হয়।

এদিকে এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আরেক নারীকে বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরের আদালতে তোলা হয়। তাদের অপর সহযোগীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রয়টার্স মালয়েশিয়ার সরকারি একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন প্রথম নারী আর ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশনের ফুটেজে যার ছবি দেখা গেছে এবং গণমাধ্যমগুলোতে যার ছবি ছাপা হয়েছে, তারা একই ব্যক্তি। ছবিতে দেখা গেছে, ওই নারী একটি সাদা টি-শার্ট পরে আছেন এবং শার্টটির সামনের দিকে ‘এলওএল’ অক্ষরগুলো লেখা আছে।  

বুধবার সকালে তাকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যেখানে দুইদিন আগে ন্যামকে টার্গেট করে 'সুচের মাধ্যমে বিষ প্রয়োগ করে' হত্যা করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় ওই নারী একাই ছিল এবং তার ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্রে তার নাম দোয়ান থি হুয়ং ও জন্মস্থান নাম দিনহ, ভিয়েতনাম লেখা ছিল।

মালয়েশীয় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক নুর রশিদ ইব্রাহিম বলেছেন, “আরও কয়েকজনকে খুঁজছে পুলিশ, এদের সবাই বিদেশি।”

উল্লেখ্য, ‘কিম চোল’ নাম নিয়ে ভ্রমণরত মৃত ব্যক্তিকে কিম জং ন্যাম বলে এখনও নিশ্চিত করেনি মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও কিম জং ন্যামের মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করে কিছু বলেনি। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়া বলছে তারা নিশ্চিত, মৃত ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত সাবেক নেতা কিম জং ইলের বড় ছেলে কিম জং ন্যাম। 

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা জানিয়েছিল, তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সন্দেহ উত্তর কোরিয়ার দুজন নারী এজেন্ট ন্যামকে খুন করেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার গুপ্তঘাতকরাই এর জন্য দায়ী বলে তাদের বিশ্বাস। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত