বইয়ে ভুয়া আলোকচিত্র, ক্ষমা চাইল মিয়ানমার সেনাবাহিনী

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:১৫

জাগরণীয়া ডেস্ক
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি বইয়ে বেশ কিছু ভুয়া আলোকচিত্র ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ছবি : রয়টার্স

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রকাশিত একটি বইয়ে বেশ কিছু ভুয়া আলোকচিত্র ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এমন প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ‘ভুল ছবি’ প্রকাশের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। 

৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সংবাদপত্র মিয়ানওয়াদি ডেইলি এই বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে ‘মিয়ানমার পলিটিকস অ্যান্ড তাতমাদাও : পার্ট ওয়ান’ শিরোনামের বইয়ে প্রকাশিত দুটি ছবির জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ক্ষমা চেয়ে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুটি ছবি ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠকদের কাছে এবং ছবিগুলোর মালিকদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তবে একটি ছবিতে ভুল ক্যাপশন দেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেনি সেনাবাহিনী।

গত জুলাই মাসে সেনাবাহিনীর পাবলিক রিলেশনস ও সাইকোলজিক্যাল ওয়ারফেয়ার বিভাগ বইটি প্রকাশ করে ইংরেজি ও বার্মিজ ভাষায়। 

বইয়ে থাকা একটি সাদা-কালো ছবিতে দেখা যায়, একদল মানুষের দীর্ঘ পদযাত্রা। আর এর ক্যাপশনে বলা হয়, ‘ব্রিটিশ উপনিবেশ মিয়ানমারের নিম্নাঞ্চল দখল করার পর বাঙালিরা দেশে (মিয়ানমারে) অনুপ্রবেশ করে।’ পরবর্তীতে রয়টার্স অনুসন্ধান করে জানায়, ছবিটি আসলে ১৯৯৬ সালে রুয়ান্ডার গণগত্যার মধ্যে শরণার্থীদের পালানোর সময় তোলা।

সেনাবাহিনী প্রকাশিত আরেকটি সাদা-কালো ছবিতে একদল লোককে নৌকায় দেখা যায়। আর এর ক্যাপশনে লেখা যায়, ‘নৌপথে বাঙালিরা মিয়ানমারে প্রবেশ করছে।’

এই ছবিটি আসলে ২০১৫ সালের, যখন হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি শরণার্থীরা থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পালিয়ে যায়। মূল ছবিটি ঘুরিয়ে ও আবছা করে বিকৃত করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রকাশিত একটি বইয়ে দুটি ভুয়া ছবি ছাপা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ছবি দুটি রোহিঙ্গা সংকটের বলে দাবি করা হলেও সেগুলো ছিল ভিন্ন ঘটনার। এ ছাড়া অন্য একটি ছবির ক্যাপশনে ভুল তথ্য লেখা ছিল। 

সম্প্রতি রাখাইনে গণহত্যা, নির্যাতন, গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ ছয় শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে বিচারে মুখোমুখি করার আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত