দিল্লীর সেই ‘নির্ভয়া’ গণধর্ষণ: ধর্ষকদের ফাঁসির রায় বহাল

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৭:৩৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে ভারতে সুপ্রিম কোর্ট। খবর এনডিটিভি এর

৯ জুলাই (সোমবার) প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারকের বেঞ্চ এ রায় দেন। এ মামলায় হাই কোর্টে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে তিনজন সর্বোচ্চ আদালতে যে রিভিউ আবেদন করেছিলেন, সোমবার তা খারিজ করে করে দিয়ে ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে সুপ্রীম কোর্ট। মামলায় অপর আসামি অক্ষয় কুমার সিংহ সাজা কমানোর আবেদন না করায় তার ক্ষেত্রেও ফাঁসির রায় বহাল থাকছে।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই প্যারামেডিকেল ছাত্রী। ৬ জনের লালসার শিকার ঐ নারীকে ধর্ষণের পাশাপাশি মারাত্মকভাবে জখম করে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়। তার বন্ধুকেও আঘাত করে ফেলে দেয়া হয় বাস থেকে। নৃশংস ঐ ঘটনা ভারতসহ সারা বিশ্বের মিডিয়ায় তুমুল আলোড়ন তুলে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মেয়েটির নাম দেয় ‘নির্ভয়া’। প্রায় দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে লড়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ‘নির্ভয়া’। ‘নির্ভয়া’ ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে ভারতজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র-জনতা।

মামলায়  অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে প্রধান আসামি বাসচালক রাম সিং কারাগারে মারা যান। পরে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত আরেক অপরাধী  অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় ২০১৫ সালে তাকে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠায় আদালত। আইন অনুযায়ী সেটাই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সর্বোচ্চ সাজা।

শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেই তরুণ মুক্তি পেলে নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ বিবেচনা করে বিচারের আইন হয় ভারতে।

 মামলায়  অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে প্রধান আসামি বাসচালক রাম সিং কারাগারে মারা যান। পরে তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
দোষী সাব্যস্ত আরেক অপরাধী সে সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর অপরাধীদের জন্য প্রযোজ্য আইনে ২০১৫ সালে তাকে তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠায় আদালত। আইন অনুযায়ী সেটাই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সর্বোচ্চ সাজা।

শাস্তির মেয়াদ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেই তরুণ মুক্তি পেলে নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর ধর্ষণের মত গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ বিবেচনা করে বিচারের আইন হয় ভারতে।

ভারতের একটি দ্রুত বিচার আদালত ২০১৩ সালে বাকি চার আসামির ফাঁসির রায় দেয়। ২০১৪ সালে হাই কোর্ট এবং গতবছর আপিল ওই সাজাই বহাল রাখে। শাস্তি কমানোর জন্য ৩ আসামি উচ্চ আদালতে রিভিউ আবেদন করলে শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখেন আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নির্ভয়ার বাবা-মা। তারা খুব শীঘ্রই এ রায় কার্যকর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত