প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ: চিঠি খুঁজতে তোলপাড় মোদির কার্যালয়

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০১৮, ০১:৪৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

সিবিএসই’র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির কিছু প্রশ্ন পরীক্ষার আগেই ফাঁস হয়ে গেছে, এমন দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লুধিয়ানার জাহ্নবী বহল। আর সেই চিঠি খুঁজতে রীতিমত উলট-পালট করে ফেলা হয়েছে মোদির কার্যালয়। গত ১ এপ্রিল (রবিবার)  ছুটির দিন ওই চিঠি খুঁজতে গিয়ে ঘাম ঝরেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের। 

দুই বছর আগে জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (জেএনইউ) ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারকে প্রকাশ্যে বিতর্কে বসার আহ্বান জানিয়ে প্রথমবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন জাহ্নবী। তখন তিনি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। এবার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এনে আবারও শিরোনামে আসলেন তিনি।

জাহ্নবী দাবি করেন, দশম শ্রেণির গণিত ও জীববিদ্যা এবং দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান প্রশ্নফাঁসের কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে গত ১৭ মার্চ চিঠি লিখেছিলেন তিনি। যারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস করছিল, আমার স্কুলের এক শিক্ষক এবং এক ছাত্র তাদের খোঁজ পেয়েছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে পরিশ্রমী পরীক্ষার্থীরা মনোবল হারিয়ে ফেলছে।

বিষয়টি সামনে আসার পরই জাহ্নবীর সেই চিঠির খোঁজ শুরু হয় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে। একটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন অসংখ্য চিঠি আসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এখন জাহ্নবীর চিঠিটি কবে এসেছে বা আদৌ এসেছে কিনা, তা সবার আগে নিশ্চিত জানা প্রয়োজন।

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, চিঠি লিখে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুললেই পরীক্ষা বন্ধ করা যায় না। তার জন্য প্রমাণ দিতে হয়।  এবার প্রশ্নফাঁস হয়েছে বলে দাবি করে প্রশ্নের নমুনাসহ কয়েকশ’ অভিযোগ জমা পড়েছে মন্ত্রণালয়ের কাছে। কিন্তু দুটি ছাড়া সব অভিযোগই ভুয়া। ইউটিউবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এরকমই একটি ভুয়া প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে। হিন্দির একটি প্রশ্নপত্রও হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে। সেটি দুই-তিন বছর আগের। এবার জাহ্নবীর অভিযোগটি যাচাই করতেই চিঠিটি খোঁজা হচ্ছে।

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে মোদীর নিরবতা নিয়ে এরইমধ্যে সরব কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তুলেছে তারা। তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ডের চাতরার একটি কোচিং সেন্টারের অন্যতম মালিক সতীশ পাণ্ডেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ, সতীশ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) নেতা। প্রশ্নফাঁসে এবিভিপি’র হাত থাকার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে তাদের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই।

সূত্র: আনন্দবাজার 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত