শান্তিতে নোবেল পেল আন্তর্জাতিক সংস্থা আইক্যান

প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেল ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপনস বা আইসিএএন। ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় (শুক্রবার) বিকেল সোয়া ৩টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেন।

এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নাম ছিল- ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন, গাম্বিয়ায় শান্তি স্থাপনে ভূমিকা পালনকারী আঞ্চলিক জোট ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস), সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস এবং এর নেতা রিদ আল সালেহ, ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদরিকা মোগেরিনি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফের।  

গত ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। এরই মধ্যে চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন ও সাহিত্য নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি। ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস। গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান মানুয়েল সান্তোস। স্বদেশে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা ও ফার্ক বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তাকে সেই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সম্প্রতি সময়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবতা আর উদারতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে এদেশের অনেকেই আশা করেছিলেন এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার উঠতে যাচ্ছে তাঁর হাতে। আর এ কারণেই দেশের সবার চোখ ছিল এ দিকে।

উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

১৯০১ সাল থেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৯৮ বার নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। পুরস্কারের ছয়টি ক্যাটাগরির মধ্যে পাঁচটি ক্যাটাগরির বিজয়ী সুইডিশ নোবেল কমিটি ঘোষণা করলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা নরওয়ে কমিটি দিয়ে থাকে। এ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছেন একজন। তিনি হলেন ভিয়েতনামের বিপ্লবী, কূটনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লি ডাক থো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত