সু চিকে দেওয়া সম্মাননা কেড়ে নিল যুক্তরাজ্যের সংগঠন

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক পরিস্থিতির অবনতিতে কার্যকর ভূমিকা না রাখায় দেশটির কার্যত নেতা অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মাননা ফিরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাজ্যের অন্যতম বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসন। 

দেশটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম অত্যাচারের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার পরও তাদের রক্ষায় সু চি উদ্যোগ না নেওয়ায় ইউনিসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউনিসন বলছে, তারা সু চিকে দেওয়া সম্মাননাসূচক সদস্যপদ স্থগিত করেছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবের জন্য ব্যবস্থা নিতে সু চির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ইউনিসনের সভাপতি মার্গারেট ম্যাককি ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আমরা অং সান সু চিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিলাম। তখন তিনি মিয়ানমারে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ডিগ্রির বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব।’

এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও জাতিগত নির্মূলকরণের কারণে যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিয়ানমারে একসময়কার বিরোধী দলে থাকা সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।

লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের স্টুডেন্টস ইউনিয়নও জানিয়েছে যে তারা সু চির সম্মানিত প্রেসিডেন্ট পদ প্রত্যাহার করে নেবে। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতির পাশা বলেন, ‘রোহিঙ্গা নির্যাতনে অং সান সু চির বর্তমান অবস্থান ও গণহত্যার পরও নিষ্ক্রিয় থাকায় আমরা তার সম্মানিত প্রেসিডেন্ট পদ ফিরিয়ে নেব।’

৩০ বছর ধরে অং সান সু চি যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো, বাথ, কেমব্রিজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি পেয়েছেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শহর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকেও তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল জিতেন অং সান সু চি। এর পর প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার অযোগ্য হওয়ার পর ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। সে সময় থেকেই তিনি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরামর্শকের পদে আছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত