ইংলাকে বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৭, ১২:৪০

জাগরণীয়া ডেস্ক

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির না হওয়ায় থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

২৫ আগস্ট (শুক্রবার) চালে ভর্তুকি কর্মসূচিতে অবহেলার মামলায় ইংলাক সিনাওয়াত্রা বিরুদ্ধের রায় ঘোষণা তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেন নি। তবে এই অসুস্থতার কথা মানতে নারাজ দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বলেন, ‘আমরা মনে করি না বিবাদী অসুস্থ। আমরা মনে করি বিবাদী লুকিয়ে আছেন, বিবাদী মিথ্যা বলছেন কিংবা পালানোর উপায় খুঁজছেন।’

এর আগে দেশটির মুখ্য বিচারপতি চিপ চুলামন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

মুখ্য বিচারপতি বলেন, ‘তার (ইংলাকের) আইনজীবী জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ, আদালতের রায় প্রদান বিলম্বিত করার অনুরোধ জানানো হয়.... তিনি অসুস্থ বলে আদালত বিশ্বাস করতে পারছেন না এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী আদালতকে বলেন, তিনি কানের সমস্যায় ভুগছেন। তাই আদালতে উপস্থিত হতে পারবেন না। পরে রায়ের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।  

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র কয়েক দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২০১১ সালে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন। ইংলাক স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন।

চালে ভর্তুকির কর্মসূচিটি ছিল ইংলাক প্রশাসনের প্রধান একটি নীতি। ওই কর্মসূচিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কেনা হয়। এই কর্মসূচিটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। এই কর্মসূচির কারণে দেশটিতে চালের বিশাল মজুত সৃষ্টি হয় এবং লোকসান হয় ৮০০ কোটি ডলার।

তবে ইংলাকের দাবি, তিনি অন্যায় কিছু করেননি। তার দাবি, ওই ভর্তুকি স্কিমের কাজ প্রতিদিন দেখাশোনা করাটা তার দায়িত্ব ছিল না। নিজেকে রাজনৈতিক প্রহসনের শিকার বলেও দাবি করেন ইংলাক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত