জাদুঘরে সন্তানকে স্তন্যদান করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার নারী

প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

সন্তানকে প্রকাশ্যে স্তন্যদান করলেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে নারীদের। তা তিনি কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আলমাজবেক আতামবায়েভের মেয়ে হোন কিংবা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। এমনকি কর্মক্ষেত্রে সন্তানকে স্তন্যপান করানোর অনুমতি না পাওয়ায় এ দেশের অনেক নারীকে চাকরিও ছাড়তে হয়েছে। অথচ বিশ্ব স্তন্যদান সপ্তাহে গোটা দুনিয়াকে স্তন্যপানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে, সেখানে ছবিটা পালটাচ্ছে কই? এবার লন্ডনে হেনস্তার শিকার হলেন এক নারী।

লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট জাদুঘরে সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ওই নারী। সেখানেই শিশুকে স্তন্যদান করতে যান তিনি। আর তখনই তাকে বাধা দেওয়া হয়। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, প্রকাশ্যে স্তন্য পান করানো যাবে না। গোটা ঘটনা মুখ বন্ধ করে মেনে নিতে চাননি তিনি। সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন তিনি। টুইটারে তিনি জাদুঘরের দ্বিচারিতার কথা তুলে ধরে জানান, সেখানে শোভা পাচ্ছে একের পর এক নগ্ন মূর্তি। যেখানে মহিলার স্তন অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। অথচ কোনো নারী সন্তানকে স্তন্যদান করলেই বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমন অদ্ভুত যুক্তি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

পরে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘যতটা সম্ভব পোশাকে শরীর ঢেকেই সন্তানকে স্তন্যদান করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু মাত্র এক বছরের শিশু তো ছটফট করবেই। ওকে সামলানো তো মুখের কথা নয়। আর তখনই পোশাক সামান্য সরে যায়। জাদুঘরের কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করেননি ঠিকই, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমায় স্তন ঢেকে ফেলতে বলেন। বেশ লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পড়ে যাই।’

এ ঘটনায় নারীটির পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। সন্তানকে তার মায়ের স্তন্যপান থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। আর তারপরই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে শেষমেশ ক্ষমা চেয়ে নেয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে বলা হয়, ‘গোটা ঘটনায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। কোনো নারী নিজের ইচ্ছে মতো যেকোনো স্থানেই স্তন্যদান করতে পারেন। তাঁকে বাধা দেওয়া উচিত হয়নি।’

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত