জেনে নিন সফলতার পূর্বশর্ত

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ১৪:২৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

আমাদের মধ্যে হতাশা বেশি। কাজ করতে না করতেই সফলতা চাই। রাতারাতি বিখ্যাত হওয়ার বাসনাও কম নয়। ফলে অল্পতেই লক্ষচ্যুত হয়ে পড়ি। ব্যর্থ হয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকি। দোষ দেই সিস্টেমের, ভাগ্যের কিংবা পরিবারের। সফলতার কিছু পূর্বশর্ত রয়েছে- তা জেনে নিন। আর যদি লক্ষ্য অটুট থাকে, সফলতা তো আসবেই।

স্বপ্ন
কোনো কাজ শুরুর আগে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নটা নিশ্চয়ই ঘুমিয়ে নয়; জেগে দেখতে হয়। মনের মধ্যে স্বপ্ন থাকবে- ‘আমি সফল ব্যক্তি হবো’। তা যেকোনো ক্ষেত্রেই হতে পারে। স্বপ্ন দেখাটা জরুরি। স্বপ্নই যদি না থাকে আপনি শিক্ষক, নেতা, কবি, অভিনেতা, ব্যবসায়ী কীভাবে হবেন?

সাধনা
শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয় না। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সাধনার দরকার আছে। যে বিষয়ে স্বপ্ন দেখছেন; সে বিষয়ে চেষ্টাটাও করতে হবে। সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়। ঘরে বসে থাকলে কেউ এসে আপনার হাতে পুরস্কার দিয়ে যাবে না। যত ছোট বিষয়ই হোক- অবহেলা না করে শ্রদ্ধার সঙ্গে শুরু করুন। বিন্দু বিন্দু জল থেকে সিন্ধু কেন হবে না?

লক্ষ্য
আপনার লক্ষ্যটাকে স্থির করুন। মাঝখানে লক্ষ্যের বাইরে চলে যাবেন না। স্থির সিদ্ধান্ত নিন। শেষ না দেখে ছাড়বেন না। কারণ আপনার লক্ষ্যই আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। অনেক ভেবে-চিন্তে লক্ষ্যটাকে স্থির করতে হয়। ধনুক থেকে তীর ছুঁড়তে গেলে লক্ষ্যটাই কিন্তু আসল।

পরিশ্রম
আপনার স্বপ্ন, সাধনা, লক্ষ্য- সবই ঠিক ছিলো। পরিশ্রমের বেলায় শূন্য হলে আপনি সফলতার দেখা আর পেলেন না। কেননা ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’। পরীক্ষা পাসের জন্য এ প্রবাদটি মুখস্থ করেছেন। কিন্তু আত্মস্থ করেননি। তাহলে আপনি ব্যর্থ। শুধু পরিশ্রমই অনেক ছোট ছোট কাজকে বড় করে তুলতে পারে। সফলতার জন্য পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই।

আগ্রহ
প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে আগ্রহ বা উৎসাহ একটি বিশাল ব্যাপার। কোনো কাজে উৎসাহ না পেলে তা না করাই ভালো। কেননা জোর করে কিছু হয় না। তাতে না আপনি উপকৃত হবেন; না আপনার প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে। কাজ করার আগে আগ্রহটাই আসল। সব কাজের ক্ষেত্রেই নিজের আগ্রহটাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সাহস
সাহস বিষয়টি মানবমনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সবকাজের ক্ষেত্রেই সাহসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। হুমকি, লোকসান, বিপদের ভয় নেই- এমন কাজ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফলে সবকিছুর সঙ্গে সঙ্গে সাহসটাকেও বাড়িয়ে নিন। সাহসীরা কখনো পরাজিত হন না। 

বিশ্বাস
প্রথমত নিজের ওপর বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট সবার ওপর বিশ্বাস রাখুন। তবে সন্দেহের বাইরে কিন্তু কেউ নন। বিশ্বাসের সঙ্গে নজরদারি করবেন। আত্মবিশ্বাস যদি প্রবল হয়- যেকোনো বিপর্যয়ে আপনি ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। কেননা ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু; তর্কে বহুদূর’।

সবশেষে বলতে চাই, জীবনে যা-ই করুন না কেন উপর্যুক্ত বিষয়গুলো স্মরণ রাখবেন। আপনার চেষ্টা আপনাকেই করতে হবে। পরিশ্রমি প্রতিটি মানুষ সফল হবে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন। তো, শুরু করুন আজই। অপেক্ষা করুন সফলতার পূর্ব পর্যন্ত।

সূত্র: জাগোনিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত