পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ গালাপাগোস

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২০:৪৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

সম্প্রতি আমেরিকার একটি বিখ্যাত ভ্রমণ ম্যাগাজিন পাঠকদের মতামত ও পছন্দের ভোটাভুটিতে গালাপাগোস দ্বীপ সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়। দ্বীপটি সেরা হওয়ার অন্যতম কারণই হল এখানকার জীববৈচিত্র্য।

ইকুয়েডর উপকূল থেকে আরও ৬০০ মাইল ভেতরে এই দ্বীপটিতে বহিরাগত অনেক প্রাণির সন্ধান মেলে। দেখা যায় দৈতাকৃতি কচ্ছপ। চোখে পড়ে অনেক বিরল পাখি। প্রাণির পাশাপাশি রয়েছে উদ্ভিদ প্রজাতিও। অথাৎ দ্বীপে রয়েছে বিরল কিছু গাছ, যা পৃথিবীর আর কোথাও সচরাচর দেখা যায় না। তাই চাইলেই ও অর্থের সামর্থ্য থাকলে ঘুরে আসতে পারেন এই সুন্দরতম দ্বীপ থেকে।

পাঠকের ভোটের নিরিখে দুনিয়ার মোট ১০টি দ্বীপের তালিকা বানিয়েছে ওই ভ্রমণ পত্রিকাটি। তার মধ্যে রয়েছে বালি, মালদ্বীপ, তসমেনিয়া, হাওয়াই দ্বীপও।

গালাপাগোস দ্বীপ
সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্যই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইকুয়েডরের এই দ্বীপটি। চার্লস ডারউইন তার অভিব্যক্তিবাদ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন এখানেই। সামুদ্রিক গোসাপ থেকে নীল পায়ের বুবিস, সমুদ্র-সিংহ এমন অনেক প্রাণির দেখা মেলে এই দ্বীপে। ‘ঝুঁকির মধ্যে থাকা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’-এর তালিকা থেকে ২০১০ সালে ইউনেস্কো বাদ দেয় এই দ্বীপটিকে। তার কারণ, খুব সচেতনভাবে এই দ্বীপের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করে চলেছে সেখানকার সরকার।

বালি দ্বীপ
জনপ্রিয়তায় গালাপাগোসের ঠিক পরেই, মানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপটি। অস্ট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশ পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা গন্তব্য। তবে, ছুটি কাটাতে বহু দেশ থেকেই সারা বছর প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে। রয়েছে হিন্দু মন্দিরও।

মালদ্বীপ
পর্যটকদের ভোটে তৃতীয় মালদ্বীপ। দিনে গড় তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রির আশপাশে, রাতে ২৩ গড়ে ডিগ্রি। ফটিক-স্বচ্ছ জল, ধু-ধু সমুদ্রসৈকত, বিলাসী রিসোর্ট এসবই হাতছানি দেয়। মাউই দ্বীপ হাওয়াইয়ের বিশেষ এই দ্বীপটি জনপ্রিয়তায় সপ্তমে রয়েছে। বিশ্বের সেরা দ্বীপগুলোর তালিকা মাউই ছাড়া কখনোই সম্পূর্ণ হবে না।

মালটা
পর্যটকদের বিচারে দশে রয়েছে ব্রিটিশ মালটা দ্বীপ। প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে প্রচুর ছবিরও শ্যুটিং হয় এখানে। মালটার রাজধানী ভলেট্টা ঐতিহাসিক জায়গা। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মধ্যে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত