যে মানুষই হয়নি, সে লেখক হবে কীভাবে?

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৭, ০১:১২

পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্রীজাতের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর হয়েছে, কারণ সে একটি কবিতা লিখেছে যেখানে- ত্রিশূলের মাথায় কনডম পরানোর কথা লেখা আছে। অমনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বললেন- তিনি শ্রীজাতের পাশে আছেন। অথচ তিনি তসলিমা নাসরিনকে নিজে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়িয়েছেন। তসলিমাকে নিয়ে যে সিরিয়াল হচ্ছিল 'দুঃসহবাস' সেটার প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন!

একটা মানুষকে ঠিক কতোটা নির্যাতন করা যায়? বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সাথে ওদেরও দেখলাম কোনো পার্থক্য নেই। জঙ্গি ধরতে পারবে না, ধর্মান্ধতা দূর করতে পারবে না। কেবল কাউকে কথা বলতে দেবে না। লেখকেরা দুর্বল। তারা দা-কুড়াল-চাপাতি-ত্রিশূল নিয়ে মারামারি করে না। কাজেই ওদের কলম ভেঙে দাও, কাগজ কেড়ে নাও, চাপাতি চালাতে জঙ্গিদের উৎসাহিত করো!

আর বাংলাদেশের যে লেখক সমাজ, তারা আছে মনোরঞ্জনের নেশায়। বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেতে হবে, কাজেই ওদের বিরুদ্ধে কিচ্ছু বলা যাবে না! চাপাতি দিয়ে অভিজিৎ রায়দের মাথা কেটে ফেলবে, কিন্তু কিচ্ছু বলা যাবে না। পাছে চাপাতি'টা নিজের মাথায় নেমে আসে! আর সরকারের মনোরঞ্জন তো আছেই! পুরো শিল্প-সাহিত্যের জগৎ ভরে গেছে মাথামোটা তেলবাজ লোকজন দিয়ে, যাদের আবার ছদ্মনাম হলো- বুদ্ধিজীবী!

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় যারা বিশ্বাস করে না তারা লেখক সেজে বসে আছে। লেখক নয়! কারণ মাথা বন্ধক দিয়ে হয়তোবা কাগজের গায়ে আঁকিবুঁকি কাটা যায়, লেখক হওয়া যায় না! যে মানুষই হয়নি, সে লেখক হবে কীভাবে?

জান্নাতুন নাঈম প্রীতি'র ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত