টুকিটাকি ভাবনা

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৮, ০০:০৫


গতরাতে কথায় কথায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা উঠেছিল। আমি চিটাগাং এর ওয়ার সিমেট্রির কথা বললাম আমার ইউরোপীয় বন্ধুদের। এক ফরাসি মেয়ে বলল ফ্রান্সে খুব সুন্দর ওয়ার সিমেট্রি আছে এবং জার্মান ছেলে খুব লজ্জিত হয়ে বলল তাদের নেই। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কেন নেই? উত্তরে সে বলল, অন্য দেশের জন্য এটা গৌরবের যে তারা নিজের দেশের সুরক্ষার জন্য জীবন দিয়েছে কিন্তু আমরা তো তাদেরকে আক্রমণ করতে গিয়ে মারা গেছি, এতে তো গৌরবের কিছু নেই! জার্মানরা এর জন্য লজ্জিত।

আমি ভাবলাম, কবে পাকিস্তান এই সভ্য সুচিন্তিত মতে আসতে পারবে!


আমার খুব প্রিয় কয়েকজন বাঙালি মেয়ে তার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেয়ার পর, গতানুগতিক টানাপোড়েন এ পড়ে গেল। সেই থোর বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোর! মেয়েরা যখন ছোটখাট কাজ করে তখন পুরুষ সঙ্গী মহান এবং সাপোর্টিভ, কিন্তু যেই সে উপরে উঠতে শুরু করে তখন আর উপরোধেও ঢেঁকি গেলা যায় না! বেরিয়ে আসে বাঙালিয়ানা, রক্ষণশীল আদর্শ, কিংবা কিছুই না শুধু টিকা টিপ্পনি যা সহনীয় মাত্রার বাইরে চলে যায়। আমি ভাবলাম, দশ বছর আগে যে যুদ্ধ আমি করেছি এই ভেবে যে আমার পরের প্রজন্মকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে না, সেই দুর্ভোগ এখনো একি রূপে বিরাজমান!
 
হে বাঙালি পুরুষ, পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, কিছুটা তো অগ্রসর হও!


এই রবিবারে আমার একজন সহকর্মি হাফ ম্যারাথন এ অংশগ্রহন করবে। ২০ কিমি দৌড়! আমাকে একজন জিজ্ঞেস করল আমি দৌড়াই কিনা। বললাম, আমি আমার সুবিধামত দৌড়াই (একা একা)। সেই মেয়ে হেসে বলে, আমার মতে মানুষের দৌড়ানোর কথা বিপদ থেকে ভাগার জন্য! বাঘ ভাল্লুক তাড়া করল টাইপের বিপদ! 
আরেকজন উচ্চ হেসে বলে, আমি মনে করি যা থেকে পালাচ্ছ তার জন্য ২০ কিমি অনেক অনেক নিরাপদ দূরত্ব! 

ফাহমিদা হোমায়রার ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত