খুব বেশী মানুষ নেই ইরুম শর্মিলার পাশে

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০১৬, ১৬:০৪

(১) 
মনিপুর রাজ্যের সাহসী প্রতিবাদী কন্যা ইরুম শর্মিলা বলেছেন তিনি অনশন ভঙ্গ করবেন। অনশন ভঙ্গ করে তিনি প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় যোগ দিবেন এবং নির্বাচনে অংশ নিবেন। শর্মিলা সম্ভবত বিবাহও করবেন খুব শিগগিরই। যে দাবীতে ইরুম শর্মিলা আজ থেকে প্রায় ষোল বছর আগে অনশন শুরু করেছিলেন সেই দাবী কিন্তু আজও পূরণ হয়নি। ভারত সরকার Armed Forces Special Powers Act (AFSPA) এখনো বাতিল করেনি। মনিপুরসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে এখনো তো সেনাবাহিনী সেই একই বিশেষ ক্ষমতা ভোগ করছে, আর সেই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্যাতন অত্যাচার চালিয়েই যাচ্ছে।

শর্মিলা কি তবে হেরে গেলেন? শর্মিলা কি তবে পরাজয় মেনে নিলেন? আমরা যারা পৃথিবীর বিভিন্ন কোনায় নানারকমভাবে ইরুম শর্মিলার এই লড়াইয়ে নৈতিক সমর্থন দিচ্ছিলাম আর ওর এই গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের কথা সকলকে বলছিলাম, আমরাও কি তবে হেরে গেলাম? আমরা কি তবে হতাশ হবো? মনিপুরের ইম্ফলে বা কাশ্মীরে ভারতের সেনাবাহিনী বা প্যারামিলিশিয়ার সদস্যরা ইচ্ছামত যাকে খুশী তাকে ধরে মারপিট করবে, যখন খুশী তখন যে কোন বাড়িঘরে ঢুকে পড়বে, যাকে ইচ্ছা তাকে গ্রেফতার করবে, যখন খুশী তখন গুলি করে মানুষ মারবে বা মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবে আর তার কি তবে কোন প্রতিকার হবে না? আমরা সকলেই কি তাইলে হেরে গেলাম?

না। ইরুম শর্মিলার এই অনশন ভঙ্গ করা মানে ওর পরাজয় মেনে নেওয়া না। অনশন ভঙ্গ করা মানে সংগ্রাম থেমে যাওয়া নয়। ইরুম শর্মিলা অনশন ভঙ্গ করলেই সেই বর্বর আইন AFSPA বৈধ হয়ে যায়না। ইরুম শর্মিলার অনশন ভঙ্গ করা মানে ভারতীয় সেনাদের সকল অত্যাচার হালাল হয়ে যাওয়া নয়। সংগ্রাম অব্যাহত আছে, সংগ্রাম অব্যাহত থাকবেই। শর্মিলা নিজেও নিশ্চয়ই তার এই সংগ্রাম অব্যাহত রাখবেন- অনশন করা ছাড়াও তো প্রতিবাদের অন্যান্য উপায়ও আছে আরকি। আর শর্মিলা যদি ব্যক্তিগত কারণে সরেও যান, সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ- বিশেষ করে সংখ্যালঘু আদিবাসী ও ট্রাইব্যাল যেসব মানুষ ওদের মানবিক অধিকার ও মর্যাদার জন্যে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় লড়ছে- সকলে মিলেই এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

(২) 
তরুণ বন্ধুরা অনেকেই হয়তো ইরুম শর্মিলা আর ওর সংগ্রামের কথা জানেন না। আর আমাদের মূলধারার গনমধ্যমে তো ওর কথা সেইভাবে খুব একটা আসে না। জানবেন কিভাবে? মনিপুর রাজ্য আর ইরুম শর্মিলা সম্পর্কে একটু বলে নিই।

ভারতের মনিপুর রাজ্যের কথা তো জানেনই। আমাদের সিলেটের পাশেই এর অবস্থান। ঠিক একদম পাশে না। সিলেটের উপর দিকে তো মেঘালয়, আর পূর্ব দিকে আসাম রাজ্যের নীচের অংশ, আসামের ঐ অংশটির পাশেই মনিপুর। ম্যাপে যদি আপনি সিলেট থেকে ঠিক পূর্ব দিক বরাবর একটা সরল রেখা টানেন, সেই রেখা আসাম পেরিয়ে গিয়ে মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলকে ছুঁয়ে দিবে। এরপর তো বার্মা আর তারপর চীনের ইউনান প্রদেশ। সিলেট থেকে ঢাকার দূরত্ব যতটুকু, ইম্ফলের দূরত্ব সম্ভবত তার চেয়েও কম।

ব্রিটিশ কলোনিতে অন্তর্ভুক্ত হবার আগে মনিপুর ছিল একটা স্বাধীন রাজ্য। মনিপুরের রাজাদের ইতিহাস পড়ে দেখতে পারেন, বেশ ইন্টারেস্টিং। মনিপুরের এক রাজা গোটা বার্মা দখলের পায়াতারা করেছিল। এই রাজার আবার ডাকনাম ছিল গারিবনেওয়াজ। এটা নিশ্চয়ই ওর আসল নাম ছিল না, ওর একটা মনিপুরী নাম ছিল সেটাই ছিল অফিসিয়াল নাম। এই রাজা নাকি বেশ প্রতাপশালীও ছিল আর বেশ যুদ্ধবাজও ছিল। গরীবনেওয়াজ মাঝে মাঝেই বার্মা আক্রমণ করতো আর একসময় বার্মার ঐ অংশটার অনেকাংশই দখলও করে নিয়েছিল। এই ঘটনা বেশীদিন আগের কথা না, অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি, যেই সময়টাতে আমরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে যাচ্ছিলাম মোটামুটি সেই সময়টাতেই।

আমরা, মানে কিনা আমাদের বাংলাদেশ, আর গোটা ভারতবর্ষ যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনে ছিলাম সেই সময় মনিপুর ছিল স্বাধীন রাজ্য। সিপাহী বিদ্রোহেরও পরে, ১৮৯০ (নাকি ৯১?) সনে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী মনিপুর সেনাবাহিনীর সাথে এক যুদ্ধে হেরে গিয়ে মনিপুর ব্রিটিশ কলোনির অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। সেই যুদ্ধের কথা মনিপুরবাসি এখনো অহংকারের সাথে স্মরণ করে। স্মরণ করে সেই যুদ্ধে মনিপুরী বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া শহীদ মেজর পাওনা আর তার সহযোদ্ধাদের- যারা বিপুর পরাক্রমশালী ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে যুদ্ধে জিততে পারেনি ঠিকই, কিন্তু জীবনের শেষ নিশ্বাসটি থাকা পর্যন্ত লড়াই করে গেছে মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য।

১৮৯১ সনে মনিপুর ব্রিটিশ কলোনি হয়ে যাওয়ার পর থেকে ১৯৪৭ সনের ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত মনিপুর ব্রিটিশ শাসনেই ছিল, তবে প্রিন্সলি স্টেট হিসাবে ছিল। ১৯৪৭ সনে মনিপুর স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পর মনিপুরের রাজা একধরনের একটা সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একটা সংবিধান প্রণয়ন করে। সেই সংবিধানে রাজা নিজেই ছিলেন দেশের সব নির্বাহী ক্ষমতার প্রধান। কিন্তু স্বাধীন মনিপুর বেশীদিন স্বাধীন থাকেনি। ১৯৪৯ সনে মনিপুর ভারতের একটি রাজ্য হিসাবে যোগ দেয়। এরপর থেকে মনিপুর ভারত প্রজাতন্ত্রের অংশ মাত্র।

(৩) 
১৯৪৯ সনে মনিপুর ভারতের অংশ হয়েছে বটে, কিন্তু এর কয়েক বছর পর থেকেই মনিপুরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এইসব বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আবার শান্তিপূর্ণও ছিলনা। ভারতের এই এলাকার আরও অনেকগুলি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের মত মনিপুরেও সশস্ত্র আন্দোলন মোটামুটি ষাটের দশকের শুরু থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী এইসব সশস্ত্র আন্দোলন এখন নাকি কিছুটা কমেছে, কিন্তু শেষ হয়নি।

সেই সাথে আবার মনিপুরের নৃতাত্বিক গ্রুপ বা ট্রাইবগুলির মধ্যেও দ্বন্দ্ব সংঘাত লেগেই আছে। মনিপুরের সমতলে মিতেইরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পাহাড়ে আছে কুকি আর নাগারা। এরা ছাড়াও ছোট বড় আরও পনের বিশটা ট্রাইব আছে মনিপুরে। আর মিতেইরা যে সংখ্যাগরিষ্ঠ, ওদের মধ্যেও আছে একশ একটা ভাগ। খৃস্টান মিতেই, হিন্দু মিতেই, বামুন মিতেই এগুলি তো আছেই, মুসলমান মিতেইও একটা গ্রুপ আছে- ওরা স্থানীয় ভাষায় বলে মিতেই পাঙ্গাল। এদের নিজেদের মধ্যে নানারকম সংঘাত লেগেই আছে।

এজন্যে মনিপুরে ইন্ডিয়ান আর্মি আর প্যারামিলিশিয়াদের বিশাল উপস্থিতি আছে। এইসব স্মাওরিক বাহিনীর লোকেরা Armed Forces Special Powers Actএর অধীনে ব্যাপক এবং ভয়ংকর সব ক্ষমতা ভোগ করে। এইসব ক্ষমতার মধ্যে আছে যে কোন সময় যে কোন বাড়িঘরে ওরা ঢুকতে পারে, যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, বল প্রয়োগ করতে পারে। এই আইন কিন্তু সারা ভারতে বহাল নাই। মনিপুর সহ নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যে এই আইন বহাল আছে।

এইরকম একটা আইন যদি থাকে, আর যেখানে ইনসারজেন্সি ঠেকানোর জন্যে মিলিটারির উপস্থিতি আছে, সেখানে কি হবে সে তো অনুমানই করতে পারেন। মনিপুরেও এইরকম ঘটনা নিয়মিত হয়ে গেল। যখন তখন লোকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া, মারধোর করা, বিনাবিচারে মেরে ফেলা এইগুলি হয়ে গেল ডালভাতের মত নৈমিত্তিক ব্যাপার। সেই সাথে ছিল নারীদের উপর অত্যাচার। এইরকম অবস্থায় ২০০০ সনে ইম্ফলে আসাম রাইফেলের সেনারা গুলি করে একটা বাসস্ট্যান্ডে আটজন বেসামরিক নারীপুরুষকে গুলি করে মেরে ফেলে। এরা সবাই ছিল নিরীহ ধরনের মানুষ, একজন ছিলেন ষাটোর্ধ মহিলা, আর আরেকটা মেয়ে ছিল যে কিনা সাহসিকতার জন্যে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল।

এই ঘটনার পরই ইরুম শর্মিলা তার অনশন কর্মসূচী শুরু করেন। তিনি ঘোষণা দিলেন ঐ AFSPA নামক আইনটি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তিনি কোন আহার গ্রহণ করবেন না, চুল আঁচড়াবেন না বা আয়নায় মুখ দেখবেন না।

(৪) 
সেই আজকে প্রায় ষোল বছর হয়ে গেল, ইরুম শর্মিলা তার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ওর অনশন কর্মসূচীর প্রতিক্রিয়ায় সরকার প্রথমেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে। তারপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন জেলে থেকেছেন। মাঝে মাঝে আদালতের আদেশে ছাড়া পায়, আবার গ্রেফতার করা হয়। এইভাবেই চলছে এখনো। কিন্তু ঐ আইন আর প্রত্যাহার করা হয়না।

এর মধ্যে ইরুম শর্মিলার এই প্রতিবাদের কথা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। সারা দুনিয়ায় শর্মিলার সমর্থনে লোকজন কথা বলেছে। ভারতেও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চীনপন্থি একটি কমিউনিস্ট পার্টি ওর দাবীকে সমর্থন করেছে। অন্য রাজনৈতিক বাম দলগুলি কেউ কিছু করেছে কিনা জানিনা। তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য শাখা ওর দাবীর প্রতি সমর্থন দিয়েছে বলে শুনেছিলাম। এরপর আম আদমি পার্টিও চেয়েছে লোকসভা ইলেকশনে ওকে নমিনেশন দিতে। শর্মিলা সেই লাইনে যাননি। তিনি তার নিজের কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন।

মনিপুরেও ইরুম শর্মিলার সমর্থনে নানারকম কর্মসূচী হয়েছে। এর মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য কর্মসূচী ছিল, যেটা সেসময় সারা দুনিয়ায় আলোড়ন তোলে- তিরিশজন মনিপুরী নারী সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে আসাম রাইফেলস এর মুল ঘাঁটির সামনে "Indian Army rape us" লেখা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই তিরিশজনের সবাই এই প্রতিবাদের জন্যে তিনমাস করে জেল খেটেছেন।

গত কয়েকমাস ধরে ইরুম শর্মিলা মুক্ত আছেন। কিন্তু ওর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। কৃত্রিমভাবে নাক দিয়ে খাবার ঢুকিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলি সহ সচেতন সকলেই ওর জীবন নিয়ে সংশয়ে আছে। ভারত সরকারকে অনেকেই অনুরোধ করেছেন, ওর দাবীটা বিবেচনার জন্যে। তিনি তো অন্যায় কিছু দাবী করেননি। তিনি শুধু চেয়েছেন নিরীহ নিরপরাধ মানুষের উপর যেন অত্যাচার না হয় সেঁতা নিশ্চিত করার জন্যে ঐ মন্দ আইনটা বাতিল করতে।

(৫) 
গতকাল থেকে খবর দেখতে পাচ্ছি, ইরুম শর্মিলা চাইছেন অনশন ভঙ্গ করে নিয়মিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তার আন্দোলনটি অব্যাহত রাখতে। কেউ কেউ তাতে আবার হতাশা ব্যক্ত করেছে।

দেখেন, এই মেয়েটি তার সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করেছেন। দুনিয়াব্যাপী সচেতন মানুষের সমর্থন পেয়েছেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সমস্যাটির প্রতি সারা দুনিয়ার মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছেন। কিন্তু আফসোসের কথা হচ্ছে ভারতের বড় বড় জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির কেউই সাহস করে AFSPA আইনটির বিপক্ষে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না। দেখা যাচ্ছে যে ভারতে সরকার বদলাবে কিন্তু মনিপুরের মানুষের এই ন্যায্য দাবীটি ইরুম শর্মিলা মরে গেলেও আদায় হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ইরুম শর্মিলা যখন অনশন শুরু করেন তখন তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না। যতটুকু জানি, এখনো সম্ভবত তিনি কোন দলের সাথে নাই। এখন যদি তিনি অনশন কর্মসুচি প্রত্যাহার করে নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার আন্দোলনটি এগিয়ে নিতে চান তাতে আমি দোষের কিছু দেখি না। তিনি তো তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টি অনশনেই কাটিয়ে দিলেন। সেই সাতাশ আঠাশ বছর বয়সে অনশন শুরু করেছিলেন, এখন তো ওর বয়সও চল্লিশ পেরিয়ে গেছে। এক ইংরেজ যুবকের সাথে ওর প্রেম ছিল- সেটার কি অবস্থা তাও বা কে জানে।

আমি মনে করি না অনশন ভেঙে ফেলা মানে ইরুম শর্মিলা হেরে গেলেন। তিনি তো তার দাবীতে এখনো অটল, কর্মসূচীর ধরন পালটাচ্ছেন মাত্র। মানুষের অধিকারের জন্য লড়ছেন যে মানুষটি, তিনি যদি নিজের জীবদ্দশায় সাফল্য দেখে যেতে নাও পারেন, সেটাকে আপনি পরাজয় বলবেন কি করে। তিনি তো লড়েই যাচ্ছেন।

(৬) 
সেইভাবে প্রাসঙ্গিক না হলেও একটা কথা বলে রাখি। আমাদের দেশেও জিয়াউর রহমানের সময় 'উপদ্রুত এলাকা আইন' নামে একটা আইনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। এই আইনের উদ্দেশ্যও ছিল অনেকটা AFSPAএরই মতো- সরকার যদি কোন একটা এলাকাকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করে তাইলে সেখানে সেনাবাহিনী ও অন্যান্যদের জন্য কিছু বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। এই আইনটার লক্ষ্য ছিল আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম।

সেসময় আমরা এই প্রস্তাবিত আইনটার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছি। দেশের বেশীরভাগ সচেতন মানুষই সেসময় এই আইনটির বিরোধিতা করেছিল। আন্দোলনের মুখে জিয়াউর রহমান এইটা নিয়ে আর অগ্রসর হয়নি। আফসোস, ইরুম শর্মিলার পাশে ভারতের খুব বেশী মানুষ নেই।

ইমতিয়াজ মাহমুদ’র ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত