কলা সংরক্ষণের উপায়

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৭, ০১:৪২

জাগরণীয়া ডেস্ক

কলা একটি অন্যকম সহজলভ্য তৃপ্তিকর ফল যা দেহকে সুস্থ ও চাঙ্গা রাখে। খুব সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করে কলা সংরক্ষণ ও কলায় বাদামী দাগ পড়া রুখা যেতে পারে। তাহলে কৌশলগুলো জেনে নেয়া যাক।

পুরোপুরি পাকা, হলুদ কলার পরিবর্তে কাঁচাপাকা সবুজাভ কলা কেনা যেতে পারে। এবং তা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দেয়া যেতে পারে। কাঁচা বা অর্ধকাঁচা কলা ফ্রিজে রাখা ছাড়াই অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে।

যদি পাকা কলা কিনে তা সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয় তাহলে একটা কাগজের ব্যাগে ঢুকিয়ে ব্যাগের মুখ আটকিয়ে তা ফ্রিজে রাখা যেতে পারে। কলার খোসায় হয়ত দাগ পড়তে পারে কিন্তু ভেতরের অংশে কিছু হবে না।

কলা কিনে আনার পর যত দ্রুত সম্ভব প্লাস্টিক ব্যাগ থেকে বের করে নিতে হবে। ব্যাগের মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকলে কলা দ্রুত পেকে নরম হয়ে যায়। কিন্তু ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে ধীরে ধীরে পাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কলা যেন উষ্ণ স্থানে বা সরাসরি সূর্যালোকে না রাখা হয়। বরং রাখতে হবে ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে।তবে ঝুলিয়ে রাখলে কলা ভালো থাকে।

কলা দ্রুত পেকে যাওয়া ঠেকাতে তা অন্যান্য পাকা ফল থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। পাকা ফল থেকে ইথিলিন উৎপন্ন হয় যা অন্যান্য কাঁচা ফলের সংস্পর্শে আসলে সেগুলোকেও পাকিয়ে দেয়।

কলা তাজা রাখার আরেকটি উপায় হচ্ছে কলার ডাঁটকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখা। এটা কলার ডাঁট থেকে আর্দ্রতা বেরিয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য পাকা ফল থেকে নির্গত ইথিলিনকে গ্রহণ করা থেকে প্রতিরোধ করে। প্লাস্টিক ছাড়াও ফয়েল পেপার অথবা টেপ দিয়ে ডাঁট মুড়িয়ে রাখা যেতে পারে। যতবার গোছা থেকে কলা ছেঁড়া হবে ততবার কলার ডাঁট সাবধানে মুড়িয়ে নিতে হবে। তাতে কলা অনেকদিন তাজা থাকবে।

যদি উপরের পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে অসুবিধা হয় তাহলে আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে, কলার গোছা থেকে কলাগুলোকে পৃথক করে নিয়ে প্রতিটি কলার ডাঁটকে মুড়িয়ে নেয়া। এর ফলে কলার খোসায় সহজে দাগও পড়বে না।

কলা কেটে রাখার পরও বাদামী হয়ে যাওয়া রোধ করা যেতে পারে। কেটে রাখা কলার টুকরোর ওপর আনারস, কমলা, আঙুর, ভিনেগার অথবা লেবুর রস বা জুস ছিটিয়ে দিতে হবে। কিংবা শুধু লেবুর রসে কলার টুকরোগুলোকে ২-৩ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। টুকরোগুলো বাদামী রঙ ধারণ করবে না।

আর যদি কলা সংরক্ষণ করতে দেরি হয়ে যায়, কিংবা কলা যদি বেশি পেকে যায়, তবে সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরণের মুখরোচক খাবার বানিয়ে নেয়া যেতে পারে। যেমন- ডোনাট,  ব্যানানা পাই, চিজকেক, প্যানকে ও পুডিং ইত্যাদি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত