দ্রুত ও সহজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অব্যর্থ মন্ত্র

প্রকাশ | ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২০:২৫

অনলাইন ডেস্ক

সিদ্ধান্ত গ্রহণ মূলত ইচ্ছাশক্তির বাস্তব প্রয়োগ। অনেক সময় সিদ্ধান্ত নেওয়াটা শক্ত মনের মানুষের জন্যেও কঠিন কিছু হয়ে ওঠে। অথচ ‘রুলস অব থাম্ব’ পদ্ধতিতে খুব দ্রুত, সহজে এবং খুব কম ইচ্ছাশক্তির ব্যবহারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আসলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি এক বিশেষ তত্ত্ব, যার দ্বারা যেকোনো কাজে ও প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব। এখানে বিস্তারিত জেনে নিন।

এখানে কিছু বাস্তবিক প্রেক্ষাপট এবং ওই পরিস্থিতিতে রুলস অব থাম্বের প্রয়োগ বুঝে নিন।

১. রুলস অব থাম্ব
যদি কোনো বিষয় নিয়ে আপনি তৃতীয়বারের মতো চিন্তা করছেন, তবে এ তত্ত্বে বলা হয়, এখনই ওই স্থানেই যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই হবে।

প্রেক্ষাপট: বাড়িতে বসে রয়েছেন। একটি ইমেইল আসলো বন্ধু বা পরিচিতজনের কাছ থেকে। এটা কোনো ইভেন্ট বা সভা সংক্রান্ত মেইল। যেকোনো একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মেইলটি পুরোপুরি পড়বেন, নাকি পড়বেন না। পর পর দুইবার এর দিকে তাকিয়েও আপনি কিছুই করলেন না। তৃতীয়বার যখন তাকাবেন তখনই একে রিসাইকেল বিনে পাঠিয়ে দিন।

২. রুলস অব থাম্ব
বাড়ির বাইরে যাওয়ার পেছেনে অন্তত দুইটি কারণ ঠিক করুন। কেবল একটি কাজের জন্যে অথবা বার্তাবাহকের মতো কাজ করতে বাইরে যাবেন না।

প্রেক্ষাপট: যদি সুপার শপে যান, তবে একটি জিনিস কিনতে যাবেন না। অন্তত দুটি জিনিস কিনতে যেতে পারেন। যদি অন্তত দুটি কেনার প্রয়োজনীয়তা না থাকে, তবে অন্য কিছু করুন।

৩. রুলস অব থাম্ব
খেতে যে সময় প্রয়োজন, খাবার প্রস্তুতে তার চেয়ে বেশি সময় দেওয়া উচিত নয়। যেকোনো সময় খাবার খেতে গড়ে ১৫ মিনিট সময় লাগতে পারে।

প্রেক্ষাপট: এমন রেসিপি নিয়ে বসলেন যা বানাতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টা। অথচ এটি খেতে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। এ ক্ষেত্রে কাটাকুটি বা বাছাই বা ফ্রিজ থেকে বের করে বরফ গলা পর্যন্ত সবই এই এক ঘণ্টার মধ্যে থাকবে।

৪. রুলস অব থাম্ব
সিলিন্ডারের গ্যাস যখন এক-চতুর্থাংশ থাকবে তখনই গ্যাস ভরতে হবে।

প্রেক্ষাপট: এটুকু গ্যাস নিয়ে আরো কিছু দিন চলতে পারে। কিন্তু এক-চতুর্থাংশে আসলেই গ্যাস নিতেই হবে। পরবর্তীতে ব্যবহার করুন বা নাই করুন।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার