রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে যা করবেন
প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৭, ২১:১৪
রমজান মাস চলছে। আমাদের দেশে এবার রোজার সময় ১৫ ঘন্টা। গরমে এত দীর্ঘ সময় পানি পান করা ছাড়া থাকলে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে। এ সময় অনেকেরই তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দ্রুত মুক্তি লাভ করা প্রয়োজন, না হলে তা থেকে অর্শ রোগ হতে পারে। তাই রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য কী করা প্রয়োজন সে বিষয়ে আজ জেনে নেয়া যাক।
খাবার তালিকায় প্রচুর সবজি রাখুন
সবজিতে প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফাইবার থাকে। পুদিনা, লেটুস, মটরশুঁটি, ছোলা ও মটরের মত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন আপনার ডায়েটে। এগুলো মলকে নরম হতে এবং সহজে অন্ত্র দিয়ে বের হয়ে যেতে সাহায্য করবে।
প্রচুর রসালো ফল খান
আপেল, কলা, পেঁপে, ডুমুর, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি ফলগুলো ফাইবারে সমৃদ্ধ বলে সেহরির সময় এগুলো খেতে পারেন। এছাড়াও সারাদিনে হাইড্রেটেড থাকতেও সাহায্য করবে এই ফলগুলো।
আস্ত শস্য এবং লিগিউম জাতীয় খাবার খান
ওটস, গম, মসূর ডাল, ফ্ল্যাক্স সিডস ইত্যাদি খাবারগুলো আস্তে আস্তে হজম হয় বলে এগুলো আপনার রোজার ডায়েটে যুক্ত করুন। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
কম চর্বির খাবার
মাছ ও মুরগীতে কম চর্বি থাকলেও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো ইমিউন সিস্টেমকে তৈরি হতে সাহায্য করে।
খাবারে প্রোবায়োটিক যুক্ত করুন
রোজার সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে দই গ্রহণ করুন। দই এ প্রোবায়োটিক থাকে।
ফলের রস ও পানি পান করুন
রমজান মাসের রোজার সময় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে পানি পান করার পাশাপাশি ফলের রস পান করুন। কচি ডাবের পানি, তরমুজ, কমলা, আঙ্গুর এবং আনারস এর জুস পান করুন।
খেজুর খান
রোজার ডায়েটে অবশ্যই খেজুর যোগ করুন। কারণ খেজুর ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং চিনিতে সমৃদ্ধ। খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করা ছাড়াও রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মাথা ঘুরানো প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
কাঠবাদাম খান
রোজার সময়ে খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো শুকনো ফল হচ্ছে কাঠবাদাম। কাঠবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং এতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে।
ভিটামিন বি
উচ্চমাত্রার ভিটামিন বি যুক্ত খাবার অন্ত্রের কাজে সাহায্য করে। তাই আঙ্গুর, ডুমুর, গুড় এবং কম ফ্যাটের দুধ গ্রহণ করুন।
এছাড়াও যে কাজগুলো করতে পারেন
> ইফতারের খাবার ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে তারপর খান। একবারে পেটপুরে খাবেন না। খাবার আস্তে আস্তে ও চিবিয়ে খান।
> খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করবেন না এবং ইফতারের পরে ব্যায়াম করুন যেমন- আধা ঘন্টার জন্য বাইরে হেঁটে আসুন।
> যতোটা সম্ভব চিনিযুক্ত খাবার ও ডেজার্ট গ্রহণ করা এড়িয়ে চলুন। কারণ এগুলো বেশি গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এর ঝুঁকি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
> খেজুর, ডুমুর বা কিশমিশের মত শুকনো ফল উষ্ণ পানিতে বা দুধে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।